আনাদোলু পোস্ট

আইএমএফের কাছ থেকে আর কখনও ঋণ নেবে না তুরস্ক: এরদোয়ান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন,  ‘ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডের’ আইএমএফের কাছ থেকে আর কখনও ঋণ নেবে না তুরস্ক। ওই প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়টি এখন সম্পূর্ণ অতীতের ঘটনা। ২০১৩ সাল থেকে দেশটি আইএমএফের ঋণ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এরদোয়ানের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘রিপাবলিকান পিপলস পার্টির’ (সিএইচপি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আগামী ৩১ মার্চ নির্বাচনের পর এরদোয়ানের সরকার আবার আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিতে যাবে। দলটির এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে এরদোয়ান তার দলের সংসদ সদস্যদের জানিয়ে দিলেন আইএমএফের বিষয়ে তার অবস্থান। এ বিষয়ে তুরস্ক ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু পোস্ট ২০১৯ সালের ছয় ফেব্রুয়ারি প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘টার্কিশ ডিলিং উইথ আইএমএফ থিং অব দ্য পাস্ট।’Capture
ছয় বছর আগে তুরস্ক আইএমএফের সব ঋণ পরিশোধ করে দিয়েছে। ২০১৩ সালের পর থেকে দেশটি আর কোনও ঋণ নেয়নি আন্তর্জাতিক সংস্থাটির কাছ থেকে। সিএইচপির সমালোচনা করে এরদোয়ান  মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার মানসিকতা তাদের, এরদোয়ানের একেপির নয়। এইএমএফের কাছে সিএইচপি যায়।
জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির সংসদীয় দলের সঙ্গে আলোচনা করার সময় এরদোয়ান আরও বলেছেন আইএসব্যাংকে থাকা সিএইচপির শেয়ার সরকারি মালিকানায় নিয়ে নেওয়া হবে। সংসদে এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই প্রস্তাব তোলা হবে। আইএসব্যাংকে আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামালের যে শেয়ার ছিল, তার মৃত্যুর পর তা চলে যায় সিএইচপির কাছে। ২৮.১ শতাংশ মালিকানার জন্য পার্টি ব্যাংকের কাছ থেকে কোনও লভ্যাংশ নেয় না। তবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে দলের চার জন প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে।
গত বছর থেকে মুদ্রামানের পতনের কারণে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে তুরস্কের অর্থনীতি। দেশটির মুদ্রা লিরার দরপতন হয়েছিল প্রায় ৪০ শতাংশ।  গত আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প তুরস্ক থেকে আমদানি করা ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করার ঘোষণা দেন। নভেম্বরের দিকে এসে লিরা খানিকটা স্থিতিশীল হয়। বর্তমানে ডলারের সঙ্গে লিরার বিনিময় হার ৫.২১।
অক্টোবর মাসেও একবার এরদোয়ান জানিয়েছিলেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে তিনি আইএমএফের ঋণ নেবেন না। সিএইচপি যে দাবি করছে তার বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ও। গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তুরস্ক বাইরের সহযোগিতা ছাড়াই অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে সক্ষম। বিরোধী রাজনৈতিক দল সিএইচপির বক্তব্য অপপ্রচার মাত্র।