হিন্দুস্তান টাইমস

তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হত্যা: বিজেপি নেতা মুকুলের বিরুদ্ধে এফআইআর

ভারতের কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে হত্যার ঘটনায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এফআইআর-এ মুকুলকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রথম পাতা
শনিবার দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস (৪২)। তিনি নদিয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক ছিলেন। শনিবার দিবাগত রাতে সরস্বতী পূজার এক অনুষ্ঠানে দুর্বৃত্তের বন্দুকের গুলিতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই বিধায়ক। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সত্যজিৎ হত্যার ঘটনায় রবিবার কার্তিকমণ্ডল এবং সুজিত মণ্ডল নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে হাঁসখালির ওসি অনিন্দ্য বসু এবং দেহরক্ষী প্রভাস মণ্ডলকে।

শনিবার রাতেই এই খুনের ঘটনার পর থেকে মুকুল রায়ের নামে অভিযোগ করেন নদিয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত। তাঁর অভিযোগ ছিল আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে বিজেপি-কে ফায়দা তুলে দিতে মুকুল রায়ের ষড়যন্ত্রে সত্যজিৎ বিশ্বাসকে হত্যা করা হয়েছে। মুকুল রায়-কে দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন গৌরীশঙ্কর দত্ত। যদিও, প্রথম থেকেই এই অভিযোগ নাকচ করে আসছে বিজেপি। গোটা ঘটনাকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, পেছন দিক থেকে সত্যজিৎ-কে প্রথমে গুলি করা হয়। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে একাধিক গুলি চালানো হয়। শনিবারেই ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করছে।