দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারি, সাংবিধানিক সংকটের আশঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ না পেয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। এর ফলে কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে তার পক্ষে দেয়াল নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নিজের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য এভাবে জরুরি অবস্থা জারির সুযোগ নিয়ে ট্রাম্প সাংবিধানিক সংকটকে উস্কে দিয়েছেন। এ বিষয়ে দেশটির সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারির মুদ্রিত সংখ্যার প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ট্রাম্প কলস ইমারজেন্সি, ডিফাইং কংগ্রেস।’Untitled
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে ট্রাম্পের চাহিদা মাফিক অর্থ দেওয়া নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় গত ডিসেম্বরে আংশিক শাট ডাউনের মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ১‌৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অস্থায়ী বাজেট বরাদ্দের মধ্য দিয়ে গত ২৫ জানুয়ারিতে ৩৫ দিনের সে শাট ডাউনের অবসান হয়। নতুন করে অচলাবস্থা এড়াতে গত বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভ বাজেট অনুমোদন দেয়। ট্রাম্প তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, আরেকটি শাট ডাউন এড়াতে তিনি বাজেটে অনুমোদন দেবেন। কিন্তু দেয়াল নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ দেওয়া না হলে তার হাতে জরুরি অবস্থা জারির অপশন রয়েছে।
ঠিকই গত শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তিনি জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন। এরপর ট্রাম্প বলেন,   আগে বরাদ্দ চাওয়া ৫৭০ কোটি ডলারের জায়গায় এখন তিনি ৮০০ কোটি ডলার বরাদ্দ দিতে পারবেন মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য।  জরুরি অবস্থা জারির যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি দাবি করেছেন, মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে মাদক, অপরাধী চক্র এবং অবৈধ অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশের সুযোগ পায়। সুতরাং তা জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে। তাই দেয়াল নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার জন্য তার জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্তটি সঠিক।
এদিকে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ডেমোক্র্যাট সংসদ সদস্যরা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক। তারা জরুরি অবস্থা জারির বিরুদ্ধে থাকা রিপাবলিকান পার্টির সংসদ সদস্যদের সঙ্গে মিলে ট্রাম্পের আদেশ বাতিলের উদ্যোগ নেবেন। হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভের স্পিকার ও ডেমোক্র্যাট রাজনীতিবিদ ন্যান্সি পেলোসি এবং নিউ ইয়র্কের সিনেটর চাক শুমার এক যৌথ বিবৃতিতে মন্তব্য করেছেন, ‘এটা একজন হতাশাগ্রস্ত প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার নমুনা। সাংবিধানিক পদ্ধতিতে নিজের ইচ্ছে পূরণ করতে না পেরে তিনি আইনি দায়রার বাইরে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।’