হিন্দুস্তান টাইমস

কাশ্মিরে ১৫০ বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রেফতার

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতার করা এসব নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ‘জম্মু কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্টের’ নেতা ইয়াসিন মালিক ও জামায়াতে ইসলামির (কাশ্মির) নেতা আব্দুল হামিদ ফায়েজ। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা-কর্মীকে আটকের তথ্য পাওয়া গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মুদ্রিত সংখ্যা প্রধান শিরোনাম করেছে এ বিষয়ে, ‘গভট ক্র্যাকস ডাউন অন সেপারেটিস্টস, ওয়ান হান্ড্রেড অ্যান্ড ফিফটি হেল্ড।’1551087680

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের পুলওয়ামাতে ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের’ গাড়ি বহরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বাহিনীটির অন্তত ৪০ জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছে। হামলার পর জইশ-ই-মোহাম্মদ নামের জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার করে। ভারত হামলার জন্য দায়ি করে পাকিস্তানকে। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে দেয় পাল্টা হামলা চালানোর স্বাধীনতা। অন্যদিকে পাকিস্তান মনে করে, গোয়েন্দা নজরদারিতে ভারতীয় সেনা কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাই এই হামলার জন্য দায়ি।

পুলওয়ামা হামলার প্রেক্ষিতে ২২-২৩ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করতে যে অভিযান চালানো হয় তাতে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী। অভিযানের সময় সংশ্লিষ্ট এলাকায় উড়তে দেখা গেছে জঙ্গিবিমান থেকে শুরু করে হেলিকপ্টার পর্যন্ত। মূলত মধ্য, উত্তর ও দক্ষিণ কাশ্মিরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করা হয়। স্বাধীন কাশ্মিরের দাবিতে আন্দোলন করা যেসব নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল তাদের সবাইকে ধরা যায়নি। এদের কেউ কেউ আগেই নিরাপদ স্থানে সরে গেছে।

এই গ্রেফতার অভিযানের এ মধ্যেই কাশ্মিরে পৌঁছেছে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য, যাদের মধ্যে রয়েছে ৪৫ কোম্পানি সিআরপিএফ ও ৩৫ কোম্পানি বিএসএফ। সিআরপিএফ ও বিএসএফের ১২টি কোম্পানি শুক্রবার বিকেলেই পৌঁছে যায়। গত ১৪ বছরের মধ্যে এই প্রথম বিএসএফকে কাশ্মিরে মোতায়েন করা হয়েছে।

আটকের ঘটনায় কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করেছেন, বিজেপির সাবেক সহযোগী ও কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি মনে করেন, সংশ্লিষ্টদের আটকের ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও বেশি জটিল করে তুলবে।