দ্য হিন্দু

কাশ্মিরে বন্দুকযুদ্ধ: পুলিশ কর্মকর্তা-সেনা সদস্য নিহত

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের কুলগামে এক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় উচ্চপদস্থ একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। এই অভিযানে নিহত হয়েছে জইশ-ই-মোহাম্মদের তিন সদস্য। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মুদ্রিত সংখ্যার একটি শিরোনাম করেছে এ বিষয়ে, ‘পুলিশ অফিসার আর্মি জওয়ান কিলড ইন কুলগাম এনকাউন্টার।’1

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের পুলওয়ামাতে ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের’ গাড়ি বহরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বাহিনীটির অন্তত ৪০ জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছে। হামলার পর জইশ-ই-মোহাম্মদ নামের জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার করে। ভারত হামলার জন্য দায়ি করে পাকিস্তানকে। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে দিয়েছে পাল্টা হামলা চালানোর স্বাধীনতা। অন্যদিকে পাকিস্তান মনে করে, গোয়েন্দা নজরদারিতে ভারতীয় সেনা কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাই এই হামলার জন্য দায়ি।

ওই ঘটনার পর থেকে কাশ্মির জুড়ে চলছে অভিযান। গত শনিবার নিজেদের স্বাধীনতাপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত করা প্রায় দেড়শ কাশ্মিরি নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করলেও, বিজেপির সাবেক সহযোগী ও কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি  ধরপাকড়ের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।

দ্য হিন্দু জানিয়েছে, শনিবার কাশ্মিরের কুলগামে জইশ-ই-মোহাম্মদের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। কুলগামের ইয়ারিপোরা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ও জইশ-ই-মোহাম্মদ সদস্যদের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ হারান জম্মু-কাশ্মির পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট আমান ঠাকুর। জইশ-ই-মোহাম্মদ সদস্যদের গুলিতে আরও নিহত হন ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্য।

পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে,  ২০০১ সালে চাকরিতে যোগ দেওয়া এই পুলিশ কর্মকর্তা সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ সেলের প্রধান ছিলেন। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর যে সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন তিনি রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সদস্য।

অভিযানে নিহত হয়েছে জইশ-ই-মোহাম্মদের তিন সদস্য। তাদের পরিচয় এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অভিযান চলাকালে মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা ও তিন জন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।