দ্য কোরিয়া টাইমস

সমঝোতা ছাড়াই শেষ হলো ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় সম্মেলন

ভিয়েতনামের হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার বিষয়ে কোনও সমঝোতায় উপনীত হতে পারেননি। সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছে দুই দিনের এই সম্মেলন। ট্রাম্প জানিয়েছন, কিম জং উন চেয়েছিলেন, পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার পাশাপাশি দেশটির ওপর থেকে যেন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক সংবাদপত্র দ্য কোরিয়া টাইমস ২০১৯ সালের ১ মার্চ মুদ্রিত সংখ্যার প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘এনকে-ইউএস সামিট এন্ডস উইদাউট ডিল।’1551437990
২০১৮ সালের জুন মাসে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিম ঐতিহাসিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন শেষে কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় সমঝোতা চুক্তি। তবে নিরস্ত্রীকরণের রূপরেখা সুনির্দিষ্ট না হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে চলছে দর কষাকষি চলছে। এ বছরের শুরু থেকে ট্রাম্প বেশ কয়েকবার কিমের সঙ্গে নতুন বৈঠক অনুষ্ঠানের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনামে শুরু হয় ট্রাম্প ও কিমের দুই দিনব্যাপী বৈঠক।
যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে এটি ছিল দ্বিতীয় সম্মেলন। শুরুতে দুই পক্ষই সৌহার্দ্যের পরিচয় হিসেবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সফল হওয়ার । সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা ছিল, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে উত্তর কোরিয়া সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের ঘোষণা দেবে। আর তার বদলে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সংক্রান্ত নতুন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। কিন্তু সেসব হয়নি।
সম্মেলন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ আজকে বিশেষ কিছু হয়নি। তবে কিম জং উন চমৎকার মানুষ। চমৎকার তার ব্যক্তিত্ব। সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব রয়েছে তার। কিন্তু এই মুহূর্তে সেসব প্রস্তাব গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ভবিষ্যতে হয়তো কখনও হবে। আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।’
‘আসলে তারা চায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করাতে। কিন্তু আমরা এখন তা করতে পারি না। আমরা কোনও নিষেধাজ্ঞা বাতিলের ব্যাপারে কথা দেইনি।কিম জং উন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চান। কিন্তু তিনি এমন কিছু ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী যেগুলো আমাদের প্রত্যাশার তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ।’
সম্মেলনের পরে ট্রাম্প ও কিম জং উনের এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও ধরনের কারণ ব্যাখ্যা না করেই তা বাতিল করা হয়। সম্মেলন শেষে একটি যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করারও কথা ছিল। সেটাও হয়নি।