আরব নিউজ

খেলাফতের পতন আসন্ন: আইএসের অবস্থানে বোমার বৃষ্টি

সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠীর শেষ অবস্থানের ওপর হামলা তীব্র করে তুলেছে কুর্দিদের সংগঠন ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের’ (এসডিএফ) যোদ্ধারা। তাদেরকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান। ইউফ্রেটিস নদীর তীরে অবস্থিত বাঘুজেই ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠীর সর্বশেষ অবস্থান। তাদের পরাজয়ের মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন হতে যাচ্ছে ইসলামিক স্টেটের তথাকথিত খেলাফত। সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদপত্র আরব নিউজ ২০১৯ সালের ৪ মার্চ মুদ্রিত সংখ্যার প্রধান শিরোনাম করেছে এ বিষয়ে, ‘এন্ড অব খালিফেত: আর্টলারি, এয়ারস্ট্রাইকস, রেইন ডাউন অন দায়েশ হাইড আউট।’Untitled
একসময় ইসলামিক স্টেটের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছিল সিরিয়া ও ইরাকের বহু অংশ। তাদের শাসনে থাকতে হয়েছে প্রায় এক কোটি মানুষকে। পাঁচ বছর পরে এখন খিলাফত সঙ্কুচিত হয়ে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে ইউফ্রেটিস নদীর এক বাঁকে। মরুভূমির মধ্যে অবস্থিত বাঘুজের কয়েকটি সড়কেই কেবল তাদের দখল কায়েম রয়েছে।
এসডিএফের একজন কমান্ডার মন্তব্য করেছেন, ‘বাঘুজকে সম্পূর্ণভাবে ঘিরে ফেলা হয়েছে। আইএস সদস্যরা সুড়ঙ্গে ঢুকেছে আত্মরক্ষার জন্য। এখনও আমরা জানি না সেখানে কত জন রয়েছে। তারা ঘর-বাড়ি ও রাস্তা-ঘাটে বোমা পেতে রেখেছে। সুড়ঙ্গগুলোর মুখেও আইইডি যুক্ত করে রাখা হয়েছে। তার এসডিএফের অগ্রযাত্রার গতি কমিয়ে দিতে গাড়ি ও আত্মঘাতী বোমা হামলা চালাচ্ছে।’
এসডিএফের যোদ্ধারা জঙ্গিদের পেতে রাখা মাইন এড়িয়ে ১৮ ঘণ্টা ধরে বাঘুজের দিকে অগ্রসর হয়েছে। অন্যদিকে জঙ্গিদের সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে এসে অতর্কিতে হামলা চালানোর কথা জানা গেছে। রবিবারেই এসডিএফ চূড়ান্ত যুদ্ধ প্রত্যাশা করেছিল। কিন্তু দিনের মধ্যেভাগে একজন কমান্ডার স্বীকার করে নেন, তাদের গতি কমে গেছে আইএসের বাধায়।
এসডিএফ জানিয়েছে, বাঘুজে এখন কয়েকশ ইসলামিক স্টেট জঙ্গি রয়েছে। এরা দীর্ঘদিনের যুদ্ধে অভিজ্ঞ। তাদের একটি অংশ আরব অঞ্চলের বাইরে থেকে যাওয়া জঙ্গি, যাদেরকে সাধারণত ‘বিদেশি যোদ্ধা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই যোদ্ধারাই ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠীর শেষ শক্তি। বাঘুজের পতনের মধ্যে দিয়ে নিশ্চিত হতে যাচ্ছে খেলাফতের পতন।