দ্য স্টেটসম্যান

মাসুদ আজহারের ছেলে-ভাইসহ ৪৪ জন আটক পাকিস্তানে

জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের যে সব সদস্যকে পাকিস্তান আটক করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে সংগঠনটির প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই ও ছেলে। সর্বমোট ৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে চাপ বাড়তে থাকার প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) পাকিস্তান তাদেরকে গ্রেফতার করে। ভারত মন্তব্য করেছে, এতে তারা বিস্মিত নয়। বরং পাকিস্তান এই অভিযান না চালালেই তা বিস্ময়কর হতো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্টেটসম্যান ২০১৯ সালের ৬ মার্চ এ বিষয়ে প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘আজহারস সন, ব্রাদার অ্যামং ফর্টিফোর হেল্ড ইন পাক।’The_Statesman_Delhi_-_The_Statesman,_Wed,_6_Mar_19_-_2019-03-06_21.04.45
পুলওয়ামা হামলার পর ভারত পাকিস্তানের কাছে একটি ডোসিয়ার পাঠিয়েছিল। তাতে অন্যান্য বিষয়ে সঙ্গে পাকিস্তানে অবস্থান করা সেসব জঙ্গিদের নাম ছিল, পুলওয়ামা হামলার জন্য ভারত যাদের দায়ি মনে করে। এই ডোসিয়ারের তথ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে দেয় ভারত, যাতে তারা ভারতের অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শেহরিয়ার খান আফ্রিদি মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে ৪৪ জঙ্গিকে গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব আজম সুলেমান খান জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে মাসুদ আজহারের ছেলে হামাদ আজহার ও ভাই মুফতি আব্দুর রউফ।
তিনি আরও জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে ভারত পাকিস্তানকে জঙ্গি সংগঠনগুলোর ব্যাপারে ডোসিয়ার দিয়েছিল তাতে এসব জঙ্গির নাম ছিল। তবে তিনি দাবি করেন, শুধু ভারতের দেওয়া তালিকা অনুযায়ীই গ্রেফতার করে হয়েছে এমনটা নয়। দ্য স্টেটসম্যান লিখেছে, ভারতের সরকারি মহল এ বিষয়ে বিস্মিত না হওয়ার কথা জানিয়েছে। তাদের ভাষ্য, পাকিস্তান যদি ওই অভিযান না চালাত তাহলেই সেটা বিস্ময়কর হতো।
পুলওয়ামা হামলার পর ভারত ইসলামাবাদ থেকে তাদের হাইকমিশনারকে নয়া দিল্লিতে ডাকিয়ে পাঠিয়েছিল। পাকিস্তানও ভারতে নিযুক্ত তাদের হাই কমিশনারকে ইসলামাবাদে ফিরিয়ে নেয়। গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, ইসলামাবাদ হাই কমিশনার সোহেল মাহমুদকে আবার ভারতে পাঠিয়েছে। তাছাড়া, আগামী ১৪ মার্চ পাকিস্তানের একটি প্রতিনিধি দলের দিল্লী সফরে যাওয়ার কথা।
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বোমা হামলার শিকার হয় দেশটির সিআরপিএফের অন্তত ৪০ সদস্য। হামলার দায় স্বীকার করে মাসুদ আজহারের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারত দাবি করে, তারা পাকিস্তানের ভেতরে বিমান হামলা করে জঙ্গি ঘাঁটিতে বোমাবর্ষণ করেছে। এতে মারা গেছে শত শত জঙ্গি। পাকিস্তান সে দাবি নাকচ করে দেয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি বিমানযুদ্ধে বিধ্বস্ত হয় ভারতীয় একটি বিমান। ধৃত বৈমানিককে বিনা শর্তে ফেরত দেওয়ার দাবি জানায় ভারত। পাকিস্তান শুক্রবার ফেরত দেয় সেই বৈমানিককে। যদিও এখন পর্যন্ত হামলার বিষয়ে দাবি-পাল্টা দাবি উত্থাপন করে যাচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান।