দ্য অস্ট্রেলিয়ান

এক ভয়ঙ্কর অস্ট্রেলীয়র মুখ

নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুই মসজিদে হামলা চালানো ব্যক্তি অস্ট্রেলীয় নাগরিক। শ্বেতাঙ্গদের ‘গণহত্যার শিকার’ হওয়ার মতো ‘উদ্ভট’ দাবি এবং এবং ‘মুসলিমদের জন্য ভীতিকর পরিস্থিতি’ তৈরির হুমকি দেওয়া ব্রেন্টন ট্যারান্টের গুলিতে মারা গেছেন ৪৯ জন। আহত হয়েছেন আরও ৪৮ জন। হতাহতদের মধ্যে পাঁচ বছরেরও কম বয়সী শিশু থাকার কথা জানা গেছে। নিজেদের দেশের এই কুখ্যাত নাগরিকের বিষয়ে অস্ট্রেলীয় সংবাদপত্র দ্য অস্ট্রেলিয়ান ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ মুদ্রিত সংখ্যার প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘অ্যান ইভিল অসি এক্সপোর্ট।’Capture
ব্রেন্টন ট্যারান্ট হত্যাকাণ্ডে বের হওয়ার আগে তার তথাকথিত ইশতেহার নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছিল। সেখানে সে নিজের বিষয়ে লিখেছে, ‘আমার ভাষার উৎস ইউরোপীয়। আমার রাজনৈতিক আদর্শ ইউরোপীয়। আমার দার্শনিক অবস্থান ইউরোপীয়। আমার পরিচয়, আমি ইউরোপীয়। আর সবচেয়ে বড় কথা, আমার রক্ত ইউরোপীয়।’
ইশতেহারে লেখা বক্তব্যেই উল্লেখ আছে, সে নিউ জিল্যান্ডের বাসিন্দা নয়। ‘আমি নিউ জিল্যান্ডে এসেছিলাম সাময়িক সময়ের জন্য, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও প্রশিক্ষণ নিতে। কিন্তু এখানে এসে আমি আবিষ্কার করি, বিশ্বের অন্য যেকোনও ভালো টার্গেটের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।’
অস্ট্রেলীয় এই হত্যাকারীর দাবি, সে একজন ‘অন্তর্মুখী’ মানুষ, একজন ‘নৃতাত্ত্বিক জাতীয়তাবাদী’ এবং ‘ফ্যাসিস্ট।’ তার ধারণা,  সে  এমন ‘এক শ্বেতাঙ্গ পুরুষ, যে তার নিজ গোষ্ঠীর মানুষের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় ভূমিকা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’  দ্য অস্ট্রেলিয়ান তাদের প্রতিবেদনে ব্রেন্টন ট্যারান্টকে ‘শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী’ আখ্যা দিয়েছে।