দ্য গার্ডিয়ান

ব্রেক্সিট সংকটের জন্য আমাকে নয়, আইনপ্রণেতাদের দায়ী করুন: থেরেসা

ব্রেক্সিট প্রশ্নে যুক্তরাজ্যের জনগণের পাশে থাকার দাবি করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। বুধবার (২০ মার্চ) ডাউনিং স্ট্রিট থেকে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে, ব্রেক্সিট সংকটের জন্য ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের দায়ী করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

দ্য গার্ডিয়ান প্রথম পাতা
এক গণভোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী,২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে যাওয়ার কথা। বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে গত নভেম্বরে জোটটির সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছিলেন থেরেসা। সে ব্রেক্সিট চুক্তি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনুমোদন করানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও গত জানুয়ারির ভোটাভুটিতে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে ব্রিটিশ এমপিরা থেরেসা মে’কে ইইউ’র সঙ্গে নতুন করে আলোচনার সুযোগ দেন। সোমবার (১১ মার্চ) ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর থেরেসা দাবি করেন,পরিকল্পনায় ‘আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক’ পরিবর্তন আনতে সমর্থ হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হাউস অব কমন্সে থেরেসার সে সংশোধিত পরিকল্পনাটি নিয়ে আবারও ভোটাভুটি হলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। এ অবস্থায় চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট পরিস্থিতি ঠেকাতে বুধবার (১৩ মার্চ) আরও একটি ভোটাভুটি হলেও সেটিও প্রত্যাখ্যাত হয়। বুধবার (২০ মার্চ) এক একান্ত বৈঠকে কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রনেতারা থেরেসাকে সতর্ক করেন, ব্রেক্সিট বিলম্বিত করার চেষ্টা করলে নিজ দলের আরও কিছু ভোট হারাবেন তিনি। এর এক ঘণ্টার মধ্যেই ডাউনিং স্ট্রিট থেকে ভাষণ দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

ব্রিটিশ জনগণের উদ্দেশে থেরেসা বলেন, ‘আমি আপনাদের পক্ষে আছি।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন সামনের সপ্তাহে তৃতীয়বারের মতো ভোটাভুটির জন্য তিনি তার প্রস্তাবটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করতে পারবেন।

ব্রেক্সিট সংকট নিয়ে আইনপ্রণেতাদের দায়ী করে তিনি বলেন, ‘আইনপ্রণেতাদের নিয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছি। তারা ব্রেক্সিট ছাড়া আর কিছুই বলেন না। যখন কিনা আপনাদের বাচ্চাদের স্কুল, আমাদের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা, ছুরি হামলাজনিত অপরাধসহ অনেক কিছু নিয়ে সত্যিকারের উদ্বেগ রয়েছে। আপনারা চান ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার এ পর্যায় শেষ হোক। আমিও একমত। আপনাদের পাশেই আছি আমি। এখন এমপিদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়।’