ফিনান্সিয়্যাল টাইমস

ব্রেক্সিট প্রস্তাব পাস করাতে থেরেসার পদত্যাগের প্রস্তাব

ব্রেক্সিট প্রশ্নে নিজের পরিকল্পনা পাস করাতে বুধবার (২৭ মার্চ) সর্বশেষ মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তার এ সংশোধিত ব্রেক্সিট পরিকল্পনার পক্ষে ভোট দিলে পদত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। দুইবার প্রত্যাখ্যাত প্রস্তাবটি তৃতীয়বারের মতো পার্লামেন্টে উত্থাপনের আগে এ প্রস্তাব দিলেন থেরেসা। নতুন করে নিজ দলের কয়েকজন এমপি তাকে সমর্থন দিলেও ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সমর্থন আদায় করতে পারেননি তিনি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়্যাল টাইমস।

ফিনান্সিয়াল টাইমস
এক গণভোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী,২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে গত নভেম্বরে জোটটির সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছিলেন থেরেসা। সে ব্রেক্সিট চুক্তি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনুমোদন করানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও দুই দফার ভোটাভুটিতে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ২৯ মার্চের পরিবর্তে ১২ এপ্রিল যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় নেতারা। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে থেরেসার চুক্তি অনুমোদন পেলে ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা ২২ মে পর্যন্ত বাড়াতে রাজি আছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তৃতীয় দফায় প্রস্তাবটি পার্লামেন্টে উত্থাপনের আগে আগে তা পাস করাতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন থেরেসা।

বুধবার দলের প্রায় ৩০০ এমপির সঙ্গে এক সভায় মে  বলেছেন,‘চুক্তিটি পাস করানো দরকার ব্রেক্সিট কার্যকরের জন্য। আমি এই কক্ষে উপস্থিত সবাইকে অনুরোধ করছি,চুক্তিটিকে সমর্থন করতে, যাতে করে আমরা আমাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে পারি: ব্রিটিশ জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে পারি।’

মে আরও বলেন, ‘দেশ ও জাতির জন্য যা ভালো তা নিশ্চিত করতে আমি নির্ধারিত সময়ের আগেই পদ ছাড়তে প্রস্তুত।’