দ্য হিমালয়ান

বার্ড ফ্লু'র প্রাদুর্ভাব নিশ্চিত, তবে নিয়ন্ত্রণে

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে আবারও বার্ড ফ্লু’র প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে। নেপালের প্রাণী সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে লেইনচাউর ও দুরবার মার্গ এলাকায় প্রায় সাড়ে তিনশো কাকের মরদেহ পাওয়া যায়। পরীক্ষায় এসব কাকের শরীরে এইচ৫এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। মানুষের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই খবরটিকে সোমবারের প্রধান শিরোনাম করেছে নেপালের শীর্ষ সংবাদপত্র দ্য হিমালয়ান।সোমবারের দ্য হিমালয়ান

২০০৯ সাল থেকে নেপালে বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। তবে বেশিরভাগ সময়েই মুরগি আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এবছরও ভক্তপুর ও তারেকশ্বর পৌর এলাকা থেকে সংগৃহীত মুরগিতে এইচ৫এন১ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত ১৭ মার্চ দুরবার মার্গ এলাকার নারায়নতিথি জাদুঘরের আঙ্গিনা ও লেইনচাউর-এর ব্রিটিশ কাউন্সিলে মৃত কাক পাওয়া যায়। ২১ মার্চ প্রাণীসম্পদ বিভাগ এসব কাকের শরীরে বার্ড ফ্লুর অস্তিত্ব থাকার কথা নিশ্চিত করে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এখন এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

দ্য হিমালয়ান-এর খবরে বলা হয়েছে, গত বছরও মুরগিসহ বিভিন্ন পাখির শরীরে একই ধরণের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। তবে প্রাণী সম্পদ বিভাগের মহাপরিচালক বিমল কুমার নির্মল বলেন, ‘এবারই প্রথমবার বিপুল সংখ্যক মৃত কাকের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেল’।

এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন  কাঠমান্ডুর সুখরাজ সংক্রামক ব্যাধী হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল গবেষণা ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. শের বাহাদুর পুন। তিনি জানান, এই রোগে সাধারণত মানুষ মারা যায় না। এই চিকিৎসক জানান, এই রোগে সংক্রামিত প্রাণীর মাংস বা ডিম ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সিদ্ধ করলে খাওয়ার জন্য নিরাপদ। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তবে সময়মত এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে চিকিৎসা দেওয়া না গেলে সমস্যা জটিল হতে পারে।

বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত পাখির বিষ্ঠা, লালা বা পালকের সংস্পর্শে আসলে মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত পাখি ধরতে হলে প্রয়োজনে গ্লোবস ও মাস্ক পরার পরামর্শ দেন ডা. নির্মল।