দ্য হিমালয়ান

স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গঠনে কিছুই করা হয়নি

প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে সংবিধানে বর্ণিত প্রবিধান বাস্তবায়নে একাধিক বিলের খসড়া এবং নানা অবকাঠামো বানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি নেপাল সরকার। নেপালের সংবিধানে সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য বিশেষ, সুরক্ষিত বা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গঠনের কথা বলা হলেও তা তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির সরকার। এই খবরকে রবিবারের প্রধান শিরোনাম করেছে দেশটির শীর্ষ সংবাদপত্র দ্য হিমালয়ান।noname

খবরে বলা হয়েছে, এই বিশেষ এবং সুরক্ষিত বা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বালানন্দ পডেল নেতৃত্বাধীন স্থানীয় পুনর্গঠন কমিশনকে। তবে সরকারের কাছে দাখিল করা এক প্রতিবেদনে নিজেদের ব্যর্থতার কথা জানিয়েছে এই কমিশন। দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানীয় পর্যায়ের সংস্থার কথা সুপারিশ করেছে এই কমিশন।

নেপালের সংবিধানের ৫৬ (৫) ধারায় বলা হয়েছে সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা অর্থনৈতিক উন্নয়নে পিছিয়ে পড়াদের জন্য কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী কোনও ধরণের বিশেষ, সুরক্ষিত বা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গঠন করা যেতে পারে।

অধিকার কর্মীরা বলছেন, সরকার মূলত রাজনৈতিক সদিচ্ছার কারণে এই সাংবিধানিক ধারা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে।

স্থানীয় সরকার পরিচালনা আইনের ৯৯ ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার প্রাদেশিক সরকারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে স্থানীয় পর্যায়ের যেকোনও জায়গাকে বিশেষ, সুরক্ষিত এবং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করতে পারে।

আদিবাসী অধিকারকর্মী শঙ্কর লিম্বু বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এ ধরণের অঞ্চল গঠেনের উদ্যোগ নেওয়া। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অসহায়ত্বের কারণে উর্বর ক্ষেত্র পাচ্ছে মাওবাদীরা। এই অসহায়ত্ত্ব যদি না মেটানো হয় তাহলে সমাজে হুমকি অব্যাহত রাখতে পারে তারা।