সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, পরিবার পরিকল্পনা ও পারিবারিক সহিংসতা রোধে চীনে নতুন আইন পাস হয়েছে। রবিবার দেশটির পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপল’স কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আইন পাস করে। এসব আইনে জনগণের জীবন সুরক্ষা ও নাগরিকদের জীবন আরও সহজতর করবে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম চায়না ডেইলি।
গত এক সপ্তাহ ধরে আলোচনা ও বিতর্কের পর আইনে অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে, চীনে প্রথমবারের মতো সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইন ও পারিবারিক সহিংসতাবিরোধী আইন পাস হয়েছে। এছাড়া জনসংখ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা নীতিতে সংশোধন পাস হয়েছে।
এসব আইন পাস হওয়ার ফলে ত্রিশ বছর বছর আগামী শুক্রবার থেকে দেশটির দম্পতিদের দুই সন্তান গ্রহণে রাষ্ট্রীয়ভাবে উৎসাহিত করা হবে।
আইন প্রণেতা জানিয়েছেন, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইন মানবাধিকারের বিষয়ে সমঝোতার পরিবর্তে শক্তিশালী করা হয়েছে।
আইন পাস হওয়া নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পার্লামেন্টের আইন কমিশনের উপসহকারী প্রধান লি শাউয়েই বলেন, ‘আমাদের সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় অঞ্চলগত, জাতিগত ও ধর্মীয় বৈষম্য নিষিদ্ধ করতে হবে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রত্যেক মানুষ ও তাদের সম্পদসহ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
রবিবার পাস হওয়া পরিবার পরিকল্পনা আইনে খসড়ায় প্রস্তাবিত ‘সারোগেট মাদার’ নিষিদ্ধের ধারাটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নারী শাখা অল চায়না উইম্যানস ফেডারেশনের হিসাব অনুযায়ী, চীনে বিবাহিত নারীদের মধ্যে এক চতুর্থাংশই পারিবারিক সহিংসতার শিকার হন। তবে সবাই এসব অভিযোগ জানাতে আসেন না। বছরে গড়ে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার অভিযোগ জমা রেজিস্ট্রি হয়।
গত বছর দেখা গেছে, এসব অপরাধের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই স্বামীদের দ্বারা সহিংসতার শিকার হয়েছেন তাদের স্ত্রীরা।
/এএ/