আবাসন সঙ্কটের নেপথ্যে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান: দ্য গার্ডিয়ান

দ্য গার্ডিয়ানের প্রথম পাতা৬ লাখেরও বেশি বাড়ি নির্মাণের মতো যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা নিজেদের মালিকানায় থাকার পরও হাউজিং সমস্যার সমাধান না করায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের বড় বড় আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। একইসঙ্গে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বার্থান্বেষী আর মুনাফোভোগী হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাদেরকে সরকারি ভর্তুকি দেওয়ারও বিরোধিতা করেছে দাতব্য সংস্থাগুলো।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের বড় বড় ৯টি আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় রয়েছে ৬ লাখ ১৫ হাজার ১৫২টি হাউজিং প্লট। আর এ সংখ্যা গত বছর যুক্তরাজ্যে নির্মিত মোট বাড়ির সংখ্যার ৪ গুণ।
বছরপ্রতি ২ লাখ আবাসন নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করে ২০২০ সাল নাগাদ ১০ লাখ নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে চায় যুক্তরাজ্য সরকার। অথচ দেশটির ৯টি আবাসন প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় ৬ লাখেরও বেশি প্লট থাকলেও গত অর্থ বছরে তারা বিক্রি করেছে মাত্র ৬৬ হাজার ৮৮১টি বাড়ি।
সম্প্রতি ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবোর্ন এক বিবৃতিতে জানান, দেশে বাড়ির মালিকানাজনিত সঙ্কট ক্রমাগত বাড়ছে। সেসময় চলতি দশকের শেষ নাগাদ ৪ লাখ সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়ি নির্মাণের জন্য বছরে ২’শ কোটি পাউন্ডের সরকারি তহবিল গঠনের পরিকল্পনাও ঘোষণা করেন তিনি।

এদিকে আবাসন নির্মাতাদের সরকারি ভর্তুকির বিরোধিতা করেছেন গৃহহীনদের সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। হাউজিং চ্যারিটি শেল্টারের মুখপাত্র বলেন, ‘এগুলো (আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান)বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। আর তারা মুনাফা চাইবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের মুনাফার পরিমাণ যখন এতটাই বেশি তখন সরকার কেন শুধু শুধু সাশ্রয়ী প্রকল্পের জন্য তাদের ভর্তুকি দেবে সে প্রশ্নটি আমাদের তোলা উচিত।’  

তবে আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দাবি, লোকবল আর উন্নয়ন পরিকল্পনায় ঘাটতি থাকায় তাদের কাজ ধীর গতিতে এগুচ্ছে।
/এফইউ/বিএ/