ছয় মাস আগে অত্যন্ত সুনিপুন দক্ষতায় সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে তৃতীয় দফায় জেল থেকে পালিয়ে যান মেক্সিকোর মাদক সম্রাট। রোলিং স্টোনের ওই নিবন্ধ অনুযায়ী, গ্রেফতার এড়াতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর চোখ ফাঁকি তিনি যখন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ঠিক সেসময় ৭ ঘণ্টা ধরে শন পেনকে ওই সাক্ষাৎকার দেন গুজম্যান। এর পরে ফোনেও নানান সময় শন পেনের প্রশ্নের জবাব দেন মাদকসম্রাট।
রোলিং স্টোন জানায়, সাক্ষাতে মাদক পাচারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন পেন ও গুজম্যান।
গুজম্যানের দাবি, পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে তার হাতে আর অন্য কোনও উপায় তার ছিল না। তবে এখন তিনি পৃথিবীর অন্য যে কারও চেয়ে অনেক বেশি হেরোইন, কোকেইন ও মারিজুয়ানা সরবরাহ করতে সক্ষম বলে স্বীকার করেন। গুজম্যান জানান, তার কাছে এখন সাবমেরিন, উড়োজাহাজ, ট্রাক আর নৌকার বহর আছে।
গুজম্যানের মতে, ভোগ না থাকলে বিক্রিও থাকবে না। নিজেকে মোটেও সহিংসতাকারী হিসেবে ভাবেন না এ মাদকসম্রাট। তার দাবি, যা কিছু করেছেন নিজেকে রক্ষার জন্য করেছেন। আমি কি কারও সমস্যা তৈরি করেছি? প্রশ্ন করেন গুজম্যান।
শেষবার ব্যাপক সুরক্ষিত কারাগার থেকে টানেল দিয়ে পালানোর অভিজ্ঞতার কথাও জানান গুজম্যান। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জার্মানি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের ওই টানেলটি তৈরি করতে এক বছর সময় লেগেছে। সাক্ষাৎকারে চলচ্চিত্র ব্যবসার প্রতিও নিজের আগ্রহের কথা জানান গুজম্যান।
শুক্রবার সিনালোয়া শহরের কাছের একটি উপকূলে ব্যাপক বন্দুকযুদ্ধের পর ফের আটক হন চ্যাপো গুজম্যান। ১৯৯৩ সালে মেক্সিকোর সিনালোয়া প্রদেশের বাসিন্দা গুজম্যানকে মাদক ব্যবসার অভিযোগে প্রথম গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় একটি ময়লা কাপড়ের ঝুড়িতে লুকিয়ে থেকে জেল থেকে পালিয়ে যান তিনি।
১৩ বছর পালিয়ে থাকার পর ২০১৪ সালে আবারও গ্রেফতার করা হয় তাকে। গত বছরের জুলাই মাসে আবারও পালিয়ে যাওয়ায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে দেশটির সরকার। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস
/এফইউ/