ডন

বিশ্ববিদ্যালয়ে মরদেহ আর রক্তের ছড়াছড়ি

বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি হামলায় অন্তত ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বুধবার সকালের এই হামলায় নিহতদের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও নিরাপত্তারক্ষীরা রয়েছেন। হামলার পর সেনা অভিযানে চার হামলাকারীর সকলেই নিহত হন।

ডনের প্রথম পাতা
নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, চার জঙ্গি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের সীমানা প্রাচীর টপকে ভেতরে প্রবেশ করেন ও নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকেন। সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টা নাগাদ হামলা শুরু হয়।
হামলার পর পরই পুলিশ উল্টো গুলি চালায়। তবে ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যহত হয়। পেশওয়ারের কমিশনার ডঃ ফখর-ই-আলম বলেন, ‘কুয়াশার কারণে কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না।’
বিশ্ববিদ্যালয়টি পেশওয়ারের উত্তর-পূর্ব দিকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে যে নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন তারা তৎক্ষণাৎ পাল্টা লড়াই করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিরাপত্তারক্ষীরা বীরের মত লড়াই করেছেন। তারা পাল্টা আক্রমণ না করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারতো।
পুলিশ সুত্র জানায়, বুধবারের এই হামলা ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেনাবাহিনীর স্কুলে হামলার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। ছাত্রাবাসের সর্বত্র মৃতদেহ আর রক্তের দেখা পান পুলিশ সদস্যরা।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অন্তত ৩ হাজার। তবে তাদের অনেকেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে ছুটিতে রয়েছেন।হামলার সময় ছেলেদের ছাত্রাবাসে ২০০ ছাত্র ও মেয়েদের ছাত্রী নিবাসে ৪০০ ছাত্রী ছিলেন।     

হামলার পর প্রায় ৩ ঘন্টাব্যাপী উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন সহস্রাধিক সেনা।এই ঘটনায় আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি ১০ দিনের শোক ঘোষণা করেছে।  

/ইউআর/বিএ/