হিজাব-নেকাব নিয়ে পাশ্চাত্যে ধারাবাহিক বিতর্কের এই পর্যায়ে ক্লাসরুমে ছাত্রীদের নেকাব পরার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এতে সরকারের সায় আছে। তবে বিরোধীরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।
নতুন নীতি অনুযায়ী, যতক্ষণ পর্যন্ত ছাত্রীরা ক্লাসরুমে নেকাব পরছেন ততক্ষণ কোনও স্কুলকে রেটিং দিতে পারবেন না দেশটির স্কুল পরিদর্শকরা। যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলোর প্রধান পরিদর্শকের বরাতে এ খবর জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ স্কুলগুলোর প্রধান পরিদর্শক স্যার মাইকেল উইলশ। তার মতে, এ ধরনের পোশাক যথাযথ নয়। স্যার মাইকেল উইলশ বলেন, ‘স্কুলের প্রধান ও অধ্যক্ষরা সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে নেকাবের ব্যবহার সীমিত করার চেষ্টা করছেন। বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে তাদের নীতি শিথিল করতে অন্যদের কাছ থেকে চাপ আসছে। আমি নিশ্চিত করতে চাই যে, এসব ক্ষেত্রে তারা আমার ওপর ভরসা রাখতে পারেন।’ তিনি দাবি করেন, প্রতিষ্ঠানের কর্মী বা ছাত্রীদের এ ধরনের পোশাক পরিষ্কারভাবেই পারস্পরিক যোগাযোগ ও কার্যকর পাঠদানকে ব্যাহত করে।
স্যার মাইকেল উইলশের এ উদ্যোগে ব্রিটিশ সরকারের সায় আছে বলে জানা গেছে। তবে এমন সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন দেশটির মুসলিম নেতারা। এমন উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে শিক্ষক সংগঠনগুলোও।
মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন বলছে, আমরা এমন একটি দেশের বাসিন্দা যে দেশের ন্যায়বিচারের গর্ব আছে। নেকাবের ক্ষেত্রে যা বলা হচ্ছে সেটা লজ্জাজনক। এর কোনও প্রয়োজন ছিল ন। সূত্র: গার্ডিয়ান।
/এমপি/বিএ/