দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

জিকা ভাইরাস: ব্রাজিলের করুণ অশ্রুগাঁথা

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রথম পাতাব্রাজিল, জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশটি যেন এখন মায়েদের করুণ অশ্রুগাঁথার এক দেশ। দেশটিতে আগে যেখানে গোটা দেশজুড়ে বছরে মাইক্রোসেফালি বা অস্বাভাবিক আকৃতির মাথা নিয়ে দেড়শো শিশু জন্ম নিতো সেখানে গত কয়েক মাসে হাজার হাজার অস্বাভাবিক আকৃতির মাথার শিশু নিয়ে হাজির হচ্ছেন মায়েরা। এরইমধ্যে অস্বাভাবিক মাথা নিয়ে জন্মানোর কারণ হিসেবে জিকা ভাইরাসকে দায়ী করা হয়েছে।
গর্ভাবস্থায় জিকা ভাইরাস বহনকারী এক ধরনের এডিস মশার কামড় খেলে মাইক্রোফেলাসি আক্রান্ত শিশু জন্ম দিতে পারেন মা। সম্প্রতি ভাইরাসটি ল্যাটিন আমেরিকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পর নারীদের আপাতত গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। তবে এরইমধ্যে অস্বাভাবিক মাথা নিয়ে যেসব শিশুর জন্ম হয়েছে তাদের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন মায়েরা।
ব্রাজিলের চিকিৎসকরাও রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। গত সেপ্টেম্বর থেকে এতো এতো রোগীর ভীড় দেখে উদ্বেগে পড়েছেন তারাও। হাসপাতালের বর্তমান তরুণ চিকিৎসক, সাবেক চিকিৎসক কিংবা অভিজ্ঞ প্রবীণ চিকিৎসক সবার কাছেই যেন এ এক দুঃস্বপ্ন। 

মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত এক শিশুকে খাওয়াচ্ছেন মা

ওসওয়ালদো ক্রুজ নামের এক হাসপাতালে ১৯৭৩ সাল থেকে কাজ করছেন চিকিৎসক অ্যাঞ্জেলা রোচা। নবজাতকবিষয়ক বিভাগের প্রধান তিনি। রোচা বলেন, ‘অনেক রোগের প্রাদুর্ভাবই দেখেছি, কিন্তু মাইক্রোসেফালিতে এতো নবজাতককে আক্রান্ত হতে দেখেনি।’

/এফইউ/বিএ/