ডন

আন্দোলন থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

ডনের প্রথম পাতাপাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জাতীয় বিমান সংস্থার (পাকিস্তান এয়ারলাইনস) দুই কর্মীর নিহত হওয়ার ঘটনায় সংস্থাটির কর্মীদের মধ্যে চলমান উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। বেশ কয়েকটি শহরে বন্ধ রাখার পর এবার দেশজুড়ে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনরত বিমানকর্মীরা। এরইমধ্যে মঙ্গলবার রাতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান নাসের জাফফার।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দেশটির জাতীয় বিমান সংস্থা পিআইএকে বেসরকারিকরণের মাধ্যমে লাভবান প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার পরই পাকিস্তানের করাচিতে জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিআইএ’র কর্মীরা তাদের প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন। মঙ্গলবার দুপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভকারীরা বিমানবন্দরের প্রধান ফটক অবরোধ করলে পুলিশ ও আধা-সামরিক রেঞ্জাররা তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। সে সময় গুলিতে এয়ারলাইন্সের দুই কর্মী নিহত হন। সিন্ধ রেঞ্জারের গুলিতে ওই দুই কর্মী নিহত হয়েছেন বলে বিমানকর্মীদের তরফে দাবি করা হলেও নিরাপত্তা বাহিনী এখন পর্যন্ত এর দায় স্বীকার করেনি।

নিহতদের একজনের নাম ইনায়েত রাজা। তিনি এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে কর্মরত ছিলেন। আহত অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। আরেক বিমানকর্মী সালিমের মৃত্যু হয় জিন্নাহ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারে।

এদিকে, করাচিতে হামলার প্রতিবাদে লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, পেশাওয়ারসহ বিভিন্ন শহরের পিআইএ কর্মীরা নিজেদের কাজ এবং ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেন।  লাহোরে আন্দোলনরত বিমানকর্মীরা জানান, ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার ইচ্ছে তাদের ছিল না। কিন্তু দুই কর্মীর মৃত্যুর খবরে তারা এমনটা করতে বাধ্য হয়েছেন।  অবিলম্বে পিআইএকে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং দুই বিমানকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন তারা। দুই বিমানকর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বুধবার করাচিতে বিক্ষোভ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

/এফইউ/বিএ/