দ্য গার্ডিয়ান

আইএসের জিম্মি সেলের দায়িত্বে লন্ডনের বাসিন্দারা

দ্য গার্ডিয়ানসিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জিম্মি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে লন্ডনের বাসিন্দারাও রয়েছেন। আইএসের যেসব সদস্যরা আটককৃত লোকজন ও শিরশ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়াদির দেখভাল করেন তাদের মধ্যেই রয়েছেন ৩২ বছরের ওই লন্ডনের বাসিন্দা। এ ঘটনা নিয়েই সোমবারের প্রধান শিরোনাম করেছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।
পশ্চিম লন্ডনে বেড়ে উঠেছেন আলেকজান্দা কোটি। এক পর্যায়ে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। লন্ডনে থাকাকালে তিনি বর্তমানে 'জিহাদি জন' নামে পরিচিত মোহাম্মদ এমওয়াজি’র ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে জানা গেছে। তারা ব্রিটিশ জঙ্গি গ্রুপ দ্য বিটলস-এর সদস্য ছিলেন।
ব্রিটিশ ত্রাণ কর্মী অ্যালান হেনিং ও ডেভিড হেইন্স, মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফোলে ও স্টিভেন সটলফ, জাপানি রিপোর্টার কেনজো গোটো এবং সিরিয়ার সৈন্যদের শিরশ্ছেদ করেন 'জিহাদি জন' নামে পরিচিত এই মোহাম্মদ এমওয়াজি। কুয়েতি বংশোদ্ভূত ২৭ বছর বয়সী এই জঙ্গি ১৯৯৪ সালে মাত্র ছয় বছর বয়সে লন্ডনে আসেন। ভর্তি হন সেইন্ট জন্স উডের কুইন্স পার্কের একটি স্কুলে। ২০০৯ সালে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে গ্রাজুয়েট শেষ করেন তিনি। এমওয়াজিকে যারা চিনতেন, তারা সবাই একবাক্যে বলেছে, ভালো ও মেধাবী ছেলে। ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত এই ভালো ছেলেই কিভাবে সিরিয়ার দুর্ধর্ষ ও বর্বর জঙ্গিতে পরিণত হলো, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে পুরো যুক্তরাজ্যে। এ জন্য যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাকেও দায়ী করেছে একটি লবি গ্রুপ। আলেকজান্দা কোটির জঙ্গি গুরু এমওয়াজি গত নভেম্বরে এক ড্রোন হামলায় নিহত হন।
ওয়েস্ট লন্ডনের আরেক বাসিন্দা আইন ডেভিস (৩১)। তিনিও জিহাদি জনের গ্রুপের সদস্য বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মোহাম্মদ এমওয়াজি, আলেকজান্দা কোটি, সাবেক মাদক ডিলার আইন ডেভিস ছিলেন বন্ধু। তারা একই মসজিদে যেতেন। ২০১৩ সালে তারা সিরিয়ায় যান।

গত নভেম্বরে তুরস্কে আটক হন আইন ডেভিস। প্যারিস হামলার আদলে তুরস্কে হামলা পরিকল্পনার অভিযোগে তাকে আটক  করা হয়।

আলেকজান্দা কোটি’র পরিবার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে কোটি’র আইএসে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বেশ কয়েক বছর ধরেই কোটি’র সঙ্গে তাদের কোনও দেখা সাক্ষাৎ নেই।

/এমপি/বিএ/