ডন

হাজিদের জন্যই ফ্লাইট পরিচালনায় সম্মতি কর্মীদের

ডনবিমানকর্মীদের ধর্মঘটের পাঁচদিনের মাথায় রবিবার আংশিকভাবে বিমান চলাচলের ঘোষণা দেয় পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। ধর্মঘটে অংশ নেওয়া কর্মীদের কেউ কেউ এসব ফ্লাইট পরিচালনায় অংশ নেন। তবে সোমবার আন্দোলনরত কর্মীরা বলেছেন, তারা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন।
পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে (পিআইএ) বেসরকারিকরণের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন কর্মীরা।
বিমানকর্মীরা বলছেন, বেশ কিছুদিন ধরে করাচির হোটেলে আটকা পড়েছেন দুই শতাধিক ওমরা হজযাত্রী। তাদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে পিআইএ’র ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে একটি ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, রবিবার সকালে ইসলামাবাদের বেনজির ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পিআইএ’র চারটি ফ্লাইট ছেড়ে গেছে এবং চারটি বিমান অবতরণ করেছে। জেদ্দা থেকে ৭২৫ জন ওমরাহ হাজীকে নিয়ে পিআইএ’র দুটি ফ্লাইট ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। এছাড়া জেদ্দা ও দুবাইয়ের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে দুটি ফ্লাইট।

পিআইএ’র মুখপাত্র দানিয়েল গিলানি জানিয়েছেন, বিমানের ফ্লাইট আংশিক চালু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যে পুরো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ধর্মঘটে যোগ দেওয়া লোকজনের মধ্যে কেউ কেউ এখন কাজে ফিরতে চাইছেন।

এর আগে কর্মীদের ধর্মঘটের মুখে বিদেশি বিমান ভাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে ওমরাহ হাজিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চারটি বোয়িং ৭৪৭ বিমান ভাড়া করে পিআইএ কর্তৃপক্ষ। সৌদি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, এয়ারলাইন্সটির বোয়িং বিমানগুলো জেদ্দা থেকে প্রায় দুই হাজার হাজিকে করাচি ও ইসলামাবাদে ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয়েছিল।

একইসঙ্গে ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডা অভিমুখী এবং এসব গন্তব্য থেকে পাকিস্তানমুখী যাত্রীদের পরিবহনের জন্য ইত্তিহাদ এয়ারওয়েজ ও তুর্কি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে আলোচনা চালায় পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ। সূত্র: ডন।

/এমপি/