বরিস জনসন বলেন, ‘আমি এক নতুন ধরনের সম্পর্ক দেখতে চাই, যাতে প্রাধান্য পাবে বাণিজ্য এবং সহযোগিতা। আর তাতে উন্মুক্ত সীমান্তের বিষয়টি হবে অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ। আমি এই অবস্থান থেকেই ক্যামেরন সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি না, এর বেশি কিছু করা আমার পক্ষে সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে যা-ই বলা হোক না কেন, আমি না-থাকার পক্ষেই প্রচারণা চালাবো। আমি জানি এর পক্ষে অনেক জনসমর্থন রয়েছে। কারণ আমি চাই এমন এক চুক্তি, যা দেশের জনগণের পক্ষে যাবে। যেখানে জনগণের অর্থের সাশ্রয় হবে এবং তার উপর জনগণের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। আর এটাই হলো মোদ্দা কথা।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেনের থাকা – না থাকার প্রশ্নে চলতি বছরের ২৩ জুন গণভোটের ঘোষণা দেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ক্যামেরন বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসা (ব্রেক্সিট) হবে ‘অন্ধকারে ঝাঁপ দেয়ার সামিল।’ ক্যামেরন জানান, সংস্কার হওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্ত থাকার পক্ষেই প্রচারণা চালাবেন তিনি। উল্লেখ্য, গণভোটে বেরিয়ে আসা শিবিরকে ‘ব্রেক্সিট’ নামে ডাকা হচ্ছে।
লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন গত বছর শহরের একটি নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ইতিমধ্যে তিনিসহ ক্যামেরনের মন্ত্রীসভার আরও ছয়জন সদস্য ‘আউট’ শিবিরকে সমর্থন জানিয়েছেন।
লন্ডনের আরেক সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থী জ্যাক গোল্ডস্মিথও বলেছেন, তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষেই ভোট দেবেন।
/এসএ/বিএ/