গবেষকদের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার পেছনে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর মতো অনেক মানবসৃষ্ট কারণ দায়ী। আর এ বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে সমুদ্রের পানির স্তর যে হারে বাড়ছে তা প্রাচীন রোম প্রতিষ্ঠার পর থেকে সর্বোচ্চ।
গবেষকদের দাবি, মানবসৃষ্ট কারণে যদি কার্বন নির্গমন না হতো তবে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ার হার কম থাকতো এমনকি নিম্নমুখীও হতে পারতো। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস এবং বন্যার জন্য মানবসৃষ্ট গ্রিনহাউজ গ্যাস দায়ী।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ার কারণে দ্বাবিংশ শতাব্দীতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা থেকে জনবসতি সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পৃথিবীর তাপমাত্রার রদবদলের সঙ্গে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতারও রদবদল হয়। গবেষকদের দাবি, ১৯ শতকে শিল্প বিপ্লবের সময় থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বিপজ্জনকহারে বাড়তে থাকে। ১৮৮০ সাল থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রায় ৮ ইঞ্চি বেড়েছে। আর মানবসৃষ্ট নির্গমনের কারণে ১৯ শতক থেকে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেড়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সম্প্রতি প্যারিস সম্মেলনে যে সমঝোতা হয়েছে তা কার্যকর হলে গ্রিনল্যান্ড এবং অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলার হার কমতে পারে।
/এফইউ/