দ্য হিমালয়ান টাইমস

নেপালে বিমান বিধ্বস্তের সম্ভাব্য কারণ

দ্য হিমালয়ান টাইমসের প্রথম পাতাপ্রাথমিকভাবে ধূলিমেঘ ঢুকে ইঞ্জিন বিকল হওয়াকে নেপালের বিমান বিধ্বস্তের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ঠিক কী কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে তা জানতে এরইমধ্যে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আর এসব নিয়েই প্রধান শিরোনাম করেছে হিমালয়ান টাইমস।
এর আগে নেপালের পশ্চিম পার্বত্য অঞ্চলে বিধ্বস্ত হওয়া তারা এয়ারলাইন্সের বিমানটির ২৩ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত ২০টি মরদেহ উদ্ধার হলেও বাকিদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার, তারা এয়ার পরিচালিত টুইন অটার বিমানটি পোখারা থেকে পর্বতারোহণের অঞ্চল জমসমের দিকে যাচ্ছিল। নেপালের বিমান কর্মকর্তাদের একজন জানান,উড্ডয়নের ১০ মিনিটের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। চার ঘণ্টার অনুসন্ধান অভিযানের পর মিয়াগদি জেলার সোলি গোপতেভির এলাকার একটি জঙ্গলে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেন দেশটির বিমান চলাচল মন্ত্রী আনন্দ প্রসাদ পোখারেল। বিমানের ২৩ আরোহীর মধ্যে তিনজন কেবিন ক্রু ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে একজন চীনা নাগরিক এবং একজন কুয়েতি নাগরিক ছিলেন।

প্রাথমিকভাবে বিমান দুর্ঘটনার কারণ জানা না গেলেও বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের ধারণা, হঠাৎ করে বিমানটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়েছিল। অন্নপূর্ণার দক্ষিণ দিকে মঙ্গলবারের ভূমিধসের কারণে সৃষ্ট ধূলিমেঘ ইঞ্জিনে প্রবেশ করে তা বিকল করে দিয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা। তবে ঘটনার সত্যিকারের কারণ জানতে এরইমধ্যে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নেপাল সরকার। তিন মাসের মধ্যে তাদেরকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক মহাপরিচালক রাজেশ রাজ ডালি।

 

/এফইউ/বিএ/