দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

সিরিয়া থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহারের উদ্দেশ্য নিয়ে যত প্রশ্ন

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রথম পাতাসোমবার আচমকা সিরিয়া থেকে রুশ বাহিনীর ‘প্রধান অংশ’ সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর তার এ ঘোষণার পর সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেবে তা নিয়ে পশ্চিমা গোষ্ঠী ও সাধারণ সিরীয়বাসীর মধ্যে শুরু হয়েছে জল্পনা। সিরিয়া থেকে রুশ বিমান ও সেনা প্রত্যাহারের ঘটনায় দেশটির ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে তার বিশ্লেষণ নিয়েই মঙ্গলবারের শিরোনাম করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএসবিরোধী অভিযান শুরুর পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর সোমবার সিরিয়া থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন পুতিন।সে সময় তার কণ্ঠে ছিল সফলতার সুর। সিরিয়ায় যা কিছু অর্জন করার ছিল তার প্রায় সব অর্জনই রাশিয়া করেছে বলে জানান পুতিন।
রুশ প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণার পর পশ্চিমা দেশগুলো এবং সিরিয়ার মানুষদের মধ্যে দুই ধরনের ধারণা দেখা দিয়েছে। একদিকে মনে করা হচ্ছে, সিরিয়া থেকে রুশ সেনা ও বিমান প্রত্যাহারের কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মধ্যে চাপ তৈরি হবে এবং তিনি শান্তি আনয়নের প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত করতে বাধ্য হবেন। আবার আরেকদিকে মনে করা হচ্ছে, সিরিয়া থেকে বাহিনী প্রত্যাহারের ঘটনার মধ্য দিয়ে মূলত আসাদের আত্মবিশ্বাসী আর স্থিতিশীল হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

রাশিয়া সিরিয়া থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহারের ব্যাপারে এমন সময়ে ঘোষণা দিল যখন কিনা গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি ৬ষ্ঠ বছরে পড়েছে এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতাকারীরা শান্তি আলোচনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রথম পাতা

সিরিয়া থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে আসাদ সরকার কোনওভাবেই একা হয়ে পড়বেন না। এর কারণ, রাশিয়া ছাড়াও আসাদের প্রতি ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহর সমর্থন রয়েছে। এছাড়া, পুতিনও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমান ও নৌ ঘাঁটিগুলো বহাল থাকবে এবং সেখানে কিছু সেনা মোতায়েন থাকবে। তবে ঠিক কত সংখ্যক রুশ বিমান কিংবা রুশ সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে তা জানাননি পুতিন।

তাছাড়া ভ্লাদিমির পুতিনের অঙ্গীকার আর রাশিয়ার পক্ষ থেকে তা বাস্তবায়ন সবসময় একইরকম হয় না। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে শান্তিচুক্তি মেনে চলার ব্যাপারে পুতিন অঙ্গীকার করলেও মস্কোপন্থী বিদ্রোহীরা এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

সিরিয়া থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহারের পেছনে আরেকটি কারণ জড়িত থাকতে পারে। বৈশ্বিকভাবে তেলের দরপতনের কারণে অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে রাশিয়া। আর এমন অবস্থায় সামরিক ব্যয় কমাতে সিরিয়া থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করে থাকতে পারে দেশটি।

 

/এফইউ/