প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার থেকে চুক্তিটি কার্যকর করার কথা রয়েছে। চুক্তির আওতায় যেসব অভিবাসন প্রত্যাশী গ্রিসে পৌঁছাবেন কিন্তু অভিবাসনের অনুমতি পাবেন না তাদেরকে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হবে। অন্যদিকে শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় ইইউ থেকে কোটি কোটি ইউরো অর্থ সহায়তা পাবে তুরস্ক। সেই সঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলোতে তুর্কি নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত ভ্রমণের অনুমতিও চাওয়া হচ্ছে।
গত বছর তুরস্ক থেকে ইজিয়ান সাগর পাড়ি দিয়ে লাখ লাখ শরণার্থী গ্রিসে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে ইউরোপের অন্যান্য দেশ বিশেষ করে জার্মানিতে পাড়ি জমায়। আর তাই অভিবাসীদের ঢল ঠেকাতে তুরস্কের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। শুক্রবার সকালে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলুর সঙ্গে আলোচনার পর ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক ব্রাসেলস সম্মেলনে ইইউ ভূক্ত ২৮টি দেশের কাছে প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তি অনুমোদন করার সুপারিশ করলে নেতারা তাতে সম্মতি জানান। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে চুক্তিটিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী দাভুতোগলু।
চুক্তির আগে থেকেই মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর বিরোধিতা করে আসছিল। নিরাপত্তা সংকটে থাকা তুরস্ক আদৌ শরণার্থীদের সামাল দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে সব বিরোধিতা আর প্রশ্ন উপেক্ষা করেই শুক্রবার শরণার্থী প্রশ্নে একমত হয় তুরস্ক-ইইউ।
/এফইউ/