দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

মিসর থেকে পালাতেই বিমান ছিনতাই!

দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
মঙ্গলবার মিসরের বিমান ছিনতাই ও তা সাইপ্রাসে অবতরণ করতে বাধ্য করানোর পর বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে নাটকীয়তা। পরে বিকেলের দিকে সে নাটকীয়তার অবসান হয়। সবচেয়ে বড় কথা হল সে ঘটনায় বিমানের সব যাত্রীই অক্ষত আছেন। বুধবার সে খবরটিকেই প্রধান শিরোনাম করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ বছর আগে মিসরের কারাগার থেকে পালিয়ে যান সাইফ এলদিন মুস্তফা। মিসর থেকে বের হওয়াটা তার জন্য সহজ কাজ ছিল না। তবে মঙ্গলবার বোধহয় ভিন্নভাবে সেই অসাধ্য সাধনের চেষ্টা করেন মুস্তফা। গায়ে ভুয়া বিস্ফোরক বেল্ট পরে পাইলটকে ভয় দেখিয়ে বিমান ছিনতাই করে বসেন তিনি। বিমানটিকে সাইপ্রাসে অবতরণ করাতে বাধ্য করান মুস্তফা।
মঙ্গলবার মিসরের স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ইজিপ্ট এয়ারের বিমানটি আলেকজান্দ্রিয়া থেকে ৬২ জন আরোহী নিয়ে উড্ডয়ন করে। এর কিছু সময় পরই এটি ছিনতাইয়ের শিকার হয়। পরে বিমানটি সাইপ্রাসে জরুরি অবতরণে বাধ্য করা হয়। পাইলট দাবি করেছেন, ‘ছিনতাইকারী’ তার গায়ে বিস্ফোরক বেল্ট রয়েছে বলে হুমকি দিয়ে বিমানটি সাইপ্রাসে অবতরণ করাতে বাধ্য করেন।
সাইপ্রাসে অবতরণের কিছুক্ষণ পর বিমানের ক্রু আর ৪ বিদেশি নাগরিককে রেখে বেশিরভাগ জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকিদের বেশ কয়েক ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। তবে শুরুতেই সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন যে এর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সংশ্লিষ্টতা নেই।

জিম্মিদশা চলাকালে বেশ কয়েকটি দাবি জানান, মুস্তফা। এরমধ্যে একটি ছিল সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করানোর দাবি। প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ওই ছিনতাইকারী একটি চিঠি ছুড়ে দিয়েছেন। সেটি আরবি ভাষায় লেখা। সেটি তিনি তার সাবেক স্ত্রীকে দিতে বলেছেন। ওই সময় আরও বলা হয়, ছিনতাইকারীর সাবেক স্ত্রী সাইপ্রাসে থাকেন। নিজেকে সাইপ্রাসে আশ্রয় দেওয়ারও দাবি জানান মুস্তফা। তার আরেকটি দাবি হলো-মিসরের কারাগার থেকে নারী বন্দিদের মুক্তি।

ঘটনার শুরু থেকেই সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, এ ঘটনার পেছনে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যই কাজ করেছে। ‘প্রত্যেকটা ঘটনার পেছনে নারী রয়েছে’ উল্লেখ করে খানিক কৌতুকও করেন তিনি।

অবশ্য শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই সংকটের অবসান হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বাকি জিম্মিদের ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন মুস্তফা।

/এফইউ/