ডন

ছেলেকে নির্দোষ প্রমাণে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা নওয়াজের

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ পানামা পেপারসে ছেলের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। তার পরিবার কোনও অপরাধ করেনি বলে দাবি করেছেন তিনি। পানামা পেপারসে ফাঁস হওয়া তথ্যে, নওয়াজের ছেলের বিরুদ্ধে বিদেশে কর ফাঁকি দিয়ে গোপন সম্পদের মালিক হিসেবে দেখানো হয়েছে।

ডন

নওয়াজ জানান, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠিত হবে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমালোচনার মুখে তিনি এ ঘোষণা দিলেন। তিনি জানান, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এক দশক আগের বিষয়টি সামনে আনছেন বিরোধীরা। এ সব সমালোচনায় নাখোশ নওয়াজ বলেন, আমার পরিবারকে অনেক অভিযোগের মুখে পড়তে হচ্ছে।

সমালোচনাকারী বিরোধী নেতাদের প্রতি বিচার বিভাগী তদন্ত কমিটির কাছে তার পরিবারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ দেওয়ার আহ্বান জানান।

নিজের পারিবারিক ব্যবসা শুরুর কথা তুলে ধরে নওয়াজ বলেন, পাকিস্তান গঠনের ২৫ বছর আগে আমার বাবা লাহোরে কাজ শুরু করেন। স্বাধীনতার সময় ইত্তেফাক প্রতিষ্ঠান আকারে দাঁড়িয়ে সাফল্য পেয়ে যায়।

তিনি জানান, ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকায় থাকা তাদের আরেকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকানা হাতছাড়া হয়।

নওয়াজ বলেন, ১৯৭২ সালের ২ জানুয়ারি ভুট্টো লাহোরের কোম্পানি বাজেয়াপ্ত করেন। ফলে ওই সময় আমাদের অনেক সম্পদ হারাতে হয়। তখন পর্যন্ত আমাদের পরিবার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। এমনকি আমি রাজনীতিতে প্রবেশের আগেই আমরা শিল্প পরিবার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে পড়ি।

নিজেদের পারিবারিক ব্যবসার আরও তথ্য দিয়ে তিনি জানান, ১৯৯৯ সালে সামরিক অভূত্থানের পর তার বাবা সৌদি আরবের মক্কায় আরেকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান শুরু করেছিলেন। কিন্তু পরে তা বিক্রি করে দেওয়া হয় এবং তার ছেলেরা এ তহবিল অন্যত্র বিনিয়োগ করেন।

উল্লেখ্য, সোমবার পানামা পেপারসে ফাঁস হওয়া তথ্য অনুসারে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সন্তান মরিয়ম, হাসান এবং হোসাইন বিদেশে কয়েকটি কোম্পানির মালিক এবং বেশ কয়েকটি কোম্পানির হয়ে আর্থিক লেনদেনের ক্ষমতা রাখেন। মরিয়মকে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি নিয়েলসেন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ও নেসকল লিমিটেডের মালিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কোম্পানি দুটি প্রতিষ্ঠিত হয় যথাক্রমে ১৯৯৪ ও ১৯৯৩ সালে।

আইসিআইজিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হোসাইন ও মরিয়ম ২০০৭ সালের জুনে নেসকল, নিয়েলসন ও অন্য একটি কোম্পানির নামে ১৩.৮ বিলিয়ন ডলার অর্থ বিনিময়ের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।

/এএ/