দ্য গার্ডিয়ান

ক্যামেরনের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি পানামাভিত্তিক তার বাবার অফশোর কোম্পানিতে ৫ হাজার শেয়ারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও কর ফাঁকির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির সংসদে এ বিষয়ে ক্যামেরনের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য বিরোধীরা প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছেন।

ক্যামেরনের অন্যতম বিরোধী জেরেমি করবিন দাবি করেছেন, সংসদে সব এমপিদের সামনে সব সম্পত্তি ও আর্থিক বিবরণী তুলে ধরার জন্য। আগামী সপ্তাহে সংসদ অধিবেশন পুনরায় বসবে।

কর ফাঁকি দেওয়ার বিরুদ্ধে সব সময় সরব ছিলেন ডেভিড ক্যামেরন। তবে যুক্তরাজ্যের কর ফাঁকির সঙ্গে পরিবারের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তাকে লজ্জায় ফেলে। পানামা পেপারসের বরাত দিয়ে দাবি করা হয়, ক্যামেরনের শেয়ার ব্যবসায়ী বাবা অফশোর ট্রাস্টে অর্থ রেখেছিলেন। পানামা পেপারস ফাঁস হওয়ার পর থেকেই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিভিন্ন তথ্য জানানো হয়। একবার বলা হয়, এটি সম্পূর্ণ ‘ব্যক্তিগত ব্যাপার’। পরে বলা হয়, এ মুহূর্তে ট্রাস্টে প্রধানমন্ত্রীর কোনো সংযোগ নেই। আবার এ কথাও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের কেউ ট্রাস্ট থেকে লাভবান হতে পারবেন না।

তবে বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন, তার প্রয়াত বাবা অফশোর ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখান থেকে তিনি লাভবান হয়েছেন। ক্যামেরন জানান, ২০১০ সালে ওই শেয়ার ৩০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। শেয়ারের লভ্যাংশের ওপর তিনি আয়কর শোধ করেছেন।

সেগুলো থেকে কিছু মুনাফাও এসেছিল, কিন্তু সেই লভ্যাংশ ক্যাপিটাল গেইন্স ট্যাক্স ভাতার চেয়ে কম ছিল, ফলে যুক্তরাজ্যের অন্য সব সাধারণ করের মতই সেটি পরিশোধ করা হয়েছিল।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়ার পরপরই বিরোধী লেবার পার্টির অন্তত একজন সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

/এএ/