দ্য ট্রিবিউন এক্সপ্রেস

রাজনপুরের দ্বীপের অর্ধেক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিলো সেনাবাহিনী

পাকিস্তানের পাঞ্জাবের রাজনপুর জেলার নদী তীরে অপরাধী চক্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা অর্ধেকেরও বেশি অঞ্চল মুক্ত করেছে সেনাবাহিনী। শনিবার এক সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। হেলিকপ্টার গানশিপ ব্যবহার করে অপরাধী চক্রের গোপন আস্তানাগুলোতে গুলিবর্ষণ করা হয়। দ্য ট্রিবিউন এক্সপ্রেস রবিবার খবরটিকে প্রধান শিরোনাম হিসেবে প্রকাশ করেছে।

আইএসপিআর-এর মহাপরিচালক সালেম বাজওয়া জানান, সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়। তারা অভিযানের দায়িত্ব নিয়েছে। পুলিশ ও রেঞ্জার সদস্যরা সেনাবাহিনীর অধীনে অভিযানে অংশ নেবে। অভিযানকে সফল করতে সব ধরনের সামর্থ্য কাজে লাগানো হবে।

আরও পড়ুন: রাজনপুরের দ্বীপ এলাকায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলার আদেশ

জারব-ই-আহান কোডনেমের এই অভিযান মার্চের শেষ দিকে শুরু হয়। পাঞ্জাব পুলিশ ও আধা-সামরিক রেঞ্জার বাহিনী গোলাম রসুল গ্যাং ওরফে চট্টুর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়। বুধবার গ্যাংস্টাররা ২০ পুলিশ সদস্যকে অপহরণ করে। এরপরই পুলিশের কাছ থৈকে সেনাবাহিনীর কাছে হেলিকপ্টার ও সহযোগিতা চাওয়া হয়।

পাকিস্তানের আরও খবর: 'পাকিস্তানে বেপরোয়া তৎপরতা চালাচ্ছে ভারতীয় গোয়েন্দারা'

শুক্রবারই  হেলিকপ্টার গানশিপ হামলা শুরু করে। তারপর দিন শনিবার সেনাবাহিনী অভিযানের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

সেনা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ১০ হেলিকপ্টারের সহযোগিতায় সেনা সদস্যরা চট্টু গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের ছয় কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেছে। রাজনপুরের কাচা জামাল এলাকায় অভিযানে রয়েছেন ৬০০ কমান্ডো। রেঞ্জারদের রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন নওয়াজ

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে অর্ধেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে। এলাকার ২০টি গ্রামে কারফিউ জারির পর সার্চ অপারেশন শুরু হয়েছে।  স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে থাকতে বলা হয়েছে। কারফিউ ভঙ্গকারীদের গুলি করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

সেনা সূত্রে আরও জানা গেছে, চট্টু গ্যাংয়ের ৪০ জন আত্মসমর্পণ করেছেন। তবে ৩০ জন সঙ্গী নিয়ে চট্টু কোহ-ই-সুলাইমান এলাকায় পালিয়ে গেছেন। নদীর তীরবর্তী এলাকায় এখন চট্টুর মাত্র ৪১জন সদস্য রয়েছেন। তারা অপহৃত পুলিশ সদস্যদের মানববর্ম হিসেবে ব্যবহার করবে। সূত্র: দ্য ট্রিবিউন এক্সপ্রেস।

/এএ/