এই গরমে ঠাণ্ডা মধুভাত

মধুভাত

গরমে সবাই শুধু শান্তি খোঁজেন। সেটি পোশাক থেকে খাবার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। ভীষণ শান্তি দরকার। খাবারের ক্ষেত্রেও একটু সহজপাচ্য ও মুখরোচক খাবারটাই সবাই চাইছেন। আজকে সবার জন্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবার মধুভাত। উপকরণগুলো একটু খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু এর স্বাদ আপনাকে দেবে অনাবিল শান্তি। অনেকদিন মনে থাকবে এই খাবার।

উপকরণ:

১। বিনি চাল- ১কেজি (আমি লাল বিনি চাল দিয়ে করেছি)

২।জালা চালের গুঁড়া ১,১/২ কাপ (এটি এমন একটি চালের গুঁড়া সেটা হচ্ছে ধান চারা করার জন্য যে বীজটা করা হয়, ঐ বীজ ধানের থেকে হওয়া চালের গুঁড়া করে নিতে হয়।ঢাকায় এটি সহজলভ্য না হলেও জেলা শহরগুলোতে নিয়মিত পাওয়া যায়)

৩। নারিকেল কোড়ানো-১কাপ

৪। লবণ- পরিমাণ মতো

৫। তরল দুধ- ২কাপ

৬।  চিনি-৪টেবিল চামচ

৭। কোড়ানো নারিকেল-১/২ কাপ

মধুভাত

যেভাবে করতে হবে:

প্রথমেই দুধ গরম করে নিতে হবে নারিকেল ও চিনি দিয়ে । বলক আসলে নামিয়ে নিন।

এবার ভাত রান্না করুন। বিনি চাল ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ,হাতের আঙুলের তিন দাগ মেপে পানি দিন বা এক কেজি ভাত রান্না করার জন্য যে পরিমাণ লাগে দিতে হবে। এবার লবণও নারিকেল কোরানো দিয়ে চুলায় জ্বাল দিন।

বলক আসলে নেড়ে দিন ভাত। চুলার আচঁ মিড়িয়াম করে ঢেকে রান্না করুন ভাত হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। ভাত হয়েছে কিনা একটি ভাত টিপে দেখুন। ভাত হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।

জালা চালের গুঁড়া আগেই করে রাখতে হবে। হালকা গরম করে রাখা দুধ পাশে রাখুন।  এখন বড় চওড়া একটি  ডেকচি নিন।  ডেকচি ধুয়ে পানি শুকায় নিতে হবে চুলায় দিয়ে।এবার ডেকচিতে প্রথমে রান্না করা বিনি ভাত ৩-৪ চামচ নিন ,উপরে জালা চাউলের মিহি গুঁড়া এক মুঠো ছিটিয়ে দিন। এখন ডাল ঘুটুনি দিয়ে ভাল করে ম্যাশ করে নিন।এভাবে ভাত ও জালা চালের গুঁড়া পর্যায়ক্রমে দিয়ে ম্যাশ করবেন। সব ভাত ম্যাশ করা হয়ে গেলে ,আরেকবার ভাল করে ঘুটে নিন। এবার করে রাখা কুসুম দুধ দিয়ে আবার ঘুটে নিন। যখন দেখবেন ভাত থকথকে আরও দুধ দেওয়া প্রয়োজন তখন আরও ১-২ কাপ দুধ কুসুম গরম করে মেশান। ভুলেও ঠাণ্ডা দুধ বা পানি দিবেন না । এবার সব শেষে ঘুটে নিয়ে ভারি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন গরম কোনও জায়গায়। কোনও ধরা ছোয়া যাবে না ১০-১২ ঘন্টার আগে। অনেকটা দই বসানোর মতো। এরপর ৩ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন মজাদার "মধুভাত"। প্রচণ্ড গরমে এই ভাত দারুণ উপাদেয়।

/এফএএন/