ইফতারের আদবকেতা

ইফতার প্লেট...

পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। রোজা রাখা, নামাজ পড়া, ঈদ শপিং ছাড়াও যেতে হবে অনেক ইফতারের দাওয়াতেও। বন্ধুদের গেটটুগেদার, ওমুক আত্মীয়ের বাসায়, তমুক বন্ধুর বাসায় ইফতারের আয়োজন থাকবেই। এই সকল নিমন্ত্রণে আপনাকে যেতেই হবে। তাই মনে রাখতে হবে কিছু আদবকায়দাও। আসুন জেনে নেই ইফতারের আদবকেতা। 

 

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

ইফতারের নিমন্ত্রণে আমন্ত্রণকারীকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানানো প্রয়োজন। কষ্ট করে ইফতারের আয়োজন করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। খুব ভাল হয় যদি আপনি সঙ্গে করে কোন ঘরের তৈরি খাওয়া বা কোনও ডের্জাট আনতে পারেন।

 সময়মতো পৌঁছানো

সূর্যাস্তের পর মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় ইফতারের সময়। ইফতারের আয়োজনে আপনি কখনো দেরি করতে চাইবেন না বা উচিৎও নয়। কারণ যিনি আয়োজন করেছেন তিনি রোজা অবস্থায় আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। সঙ্গে এটাও মনে রাখা প্রয়োজন যে খুব তাড়াতাড়িও যাবেন না কারণ ওই সময় তিনি ইফতার তৈরি করতে ব্যস্ত থাকবে।

 দ্বিধায় থাকলে জিজ্ঞাসা করুন

অনেকেই প্রথমবারের মতো এই ধরনের ইফতারের আয়োজনে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে যদি সময় নিয়ে বা ঠিকানা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকে তাহলে পরিষ্কারভাবে জিজ্ঞাসা করুন। নাহলে পরে বিভ্রান্তিকর অবস্থায় পড়তে পারেন।

 

নামাজের সময়টিকে সম্মান দিন

আপনার হোস্ট ইফতারের পর নামাজের জন্য যেতে পারে। সম্ভব হলে আপনিও নামাজ পড়তে যান। নতুবা আপনার হোস্ট ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। 

 

সময়মতো অনুষ্ঠান ত্যাগ করুন

ইফতার শেষে চা-কফি খাওয়া হলে এইবার আপনার হোস্টকে ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিন। কারন তারও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে।

/এফএএন/