যত্নে থাকুক বই

বই থাকুক যত্নে

 

প্রযুক্তির আধুনিকায়ন হলেও বইয়ের আবেদন যেন সবসময় থাকবে। মূল্যবান বইটিকে অকেদিন ধরে সংরক্ষণ করতে হলে নিতে হবে বইয়ের সঠিক যত্ন। অনেক কারণেই বই এর ক্ষতি হতে পারে। পোকায় কাটতে পারে, আর্দ্রতা ক্ষতি করতে পারে, ধুলাবালিতে ক্ষতি হতে পারে। পড়ার সময় ঠিকভাবে যত্নবান না হলে ছিড়ে যেতে পারে। তাই একটু যত্নবান বা সচেতন হলেই প্রিয় বইগুলোকে দীর্ঘদিন অক্ষত রাখা সম্ভব।

বইগুলো কোথাও এলোমেলো করে না রেখে সাজিয়ে রাখতে হবে। তাই ঘরের জায়গা ও বইয়ের সংখ্যার উপর নির্ভর করে বুক শেলফ তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। সেটা না থাকলে টেবিলে বই এর আকার অনুসারে বা বিষয় অনুসারে সাজিয়ে রাখতে পারেন।

বুক শেলফ থেকে বই নেওয়ার সময় যত্নবান হোন, বই আবার জায়গা মতো রেখে দিন কাজ শেষ হলে। খাওয়ার সময় সামনে বই না রাখাই ভালো কারণ খেতে খেতে পড়তে গেলে সামান্য অসর্তকতায় আপনার প্রিয় বইটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

বই এর পাতা মুড়ে মার্ক করার অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। এতে পাতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বুক মার্কার ব্যবহার করুন, ছোট্ট কাগজ বা অব্যবহত ভিজিটিং কার্ড বেস্ট বুক মার্কার বলে পরিচিত! অনেকে বইয়ের পাতার নম্বর মনে রাখতে চেষ্টা করেন। এটাও বেশ কাজের।

আর্দ্রতা থেকে সচেতন থাকুন। আর্দ্রতা আপনার বই এর কাগজকে ধীরে ধীরে নরম করে তুলবে। বই এক সময় নিজে থেকেই নষ্ট হয়ে যাবে। শুকনো জায়গায় বই রাখুন, মাঝেমাঝে, সম্ভব হলে বছরে এক বা দুইবার বই বের করে সকালের রোদে এক দু’ঘণ্টা রেখে দিন। এটা বইতে আর্দ্রতার পরিমাণ কমাবে। পোকামাকড় আমাদের দেশে বই এর সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই ন্যাপথালিন বইয়ের মাঝে মাঝে ছড়িয়ে দিলে পোকামাকড় এর উপদ্রবের আশঙ্কা কমে যাবে।

তাছাড়া কাঁচের দরোজা যুক্ত শেলফ ব্যবহার করলে বই অনেকাংশে পোকা মাকড় মুক্ত থাকবে। আবার আলো যাওয়া-আসা করলে সেটাও উপকার হবে। বই যদি কাউকে দিতেই হয়, নিশ্চিত হয়ে নিন, তিনি বই এর যত্ন করতে জানে এবং সময় মতো বই ফেরত দেবার বিষয়ে সচেতন কিনা। সম্ভব হলে একটা ডায়েরি মেনটেন করুন, যেটাতে লেখা থাকবে কবে কাকে বই দিয়েছেন এবং কবে সেটা ফেরত দেবার কথা।

আর ঘরে বই রাখার জায়গা হওয়া উচিত নিরিবিলি এবং শান্ত পরিবেশে। সবচেয়ে ভালো হয় পাঠাগারের জন্য আলাদা এটি কক্ষের ব্যবস্থা করতে পারলে। সেখানে যাতে বসে পড়ার ব্যবস্থা থাকে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

/এফএএন/