হজের মূল কার্যক্রম

 

 

পবিত্র কাবা

এক সপ্তাহ পরেই শুরু হতে যাচ্ছে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। ইতোমধ্যে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ৩০ লাখ হাজি পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব পৌঁছেছেন। বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে আর মাত্র দুইদিন ফ্লাইট যাবে হজযাত্রীদের নিয়ে।  

হজ তিন ধরনের। তবে আমাদের দেশের বেশির ভাগ হাজি তামাত্তু করেন। হজের মূল কার্যক্রম শুরু হয় ৮ জিলহজ। হারাম শরিফ বা বাসা থেকে হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে ৮ জিলহজ জোহরের আগেই মিনায় পৌঁছতে হবে। জিলহজের ৮ তারিখ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মিনায় আদায় এবং অবস্থান করতে হয়। মূল হজের দিন ৯ জিলহজ। এ দিন আরাফার ময়দানে অবস্থান করতে হয়। এখানে হাজীরা নিজ তাঁবুতে জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করেন। মাগরিবের নামাজ না পড়ে মুজদালিফার দিকে রওনা করতে হয়। মুজদালিফায় গিয়ে এশার সময়ে মাগরিব ও এশা এক আজান ও এক ইকামতে একসঙ্গে আদায় করবেন। এখানেই রাত যাপন করুন। ১০ জিলহজ ফজর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত শুধু বড় জামারাকে (বড় শয়তান) সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয়। ১১ ও ১২ জিলহজও কঙ্কর মারতে হয়। ১০ জিলহজ কোরবানি এবং ১২ জিলহজের মধ্যেই তওয়াফে জিয়ারত সম্পন্ন করতে হবে। মিনায় অবস্থান করতে হবে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। মিনা থেকে ফেরার পর হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ। আগে মদিনায় না গিয়ে থাকলে হজযাত্রীরা পরে মদিনায় যান।

হজ মূলত একটি প্র্যাকটিক্যাল ইবাদত। সরাসরি নির্ধারিত স্থানে না গিয়ে হজের মাসয়ালা বোঝানো মুশকিল। তবে হজের মাসয়ালাকে খুব জটিল মনে করাও ঠিক নয়। আল্লাহর কাছে সব সময় দোয়া করতে হবে, তিনি যেন হজের প্রতিটি কাজ সহজ করে দেন। হজের নিয়মকানুন শেখার জন্য প্রচুর বইপত্র আছে।শিক্ষিতরা নিজেরাই শিখে নিতে পারেন। এছাড়া প্রত্যেক কাফেলার সঙ্গে মুয়াল্লিম থাকেন; যেকোনও প্রয়োজনে তারা আপনাকে সহযোগিতা করবেন। সুতরাং আল্লাহর পথের সফর, তিনিই সবকিছু সহজ করে দেবেন এই বিশ্বাস থাকবে হবে।

লেখক- সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম।

/এফএএন/