কসাই লাগবে কসাই!

 

কসাইয়ের কাজ

কোরবানির ঈদ আসলেই সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে কসাইয়ের। এলাকা ভেদে কসাইয়ের চাহিদা থাকে ব্যাপক আকারে। কাজের চাপ থাকায় সবার মন রক্ষা করাও কঠিন হয়ে পড়ে। তাই বেশিরভাগ মানুষই ঈদের আগেই যার যার পছন্দ অনুযায়ী কসাই ঠিক করে ফেলেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সবার চাহিদা থাকে ঈদের নামাজের পর পরই তার কোরবানির আনুসাঙ্গিকতা সেরে ফেলার। তাই কসাইয়ের চাহিদা সকালের সময়টা একটু বেশিই থাকে।

জাত কসাই হলে একটা গরু বানানোর কাজ শেষ করতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। এক্ষেত্রে তাদের টাকাটাও একটু বেশি দিতে হয়। আস্তে আস্তে দিন যতই গড়াতে থাকে তাদের কাজের রেট কমতে থাকে। নামাজের পর কাজ করাতে হলে একজন জাত কসাইকে ২৫০-৩০০ টাকা দিতে হয় প্রতি হাজারে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রেট কমতে কমতে ১৫০ টাকা পর্যন্ত হয়।

রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, বসুন্ধরা, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাজারিবাগ এলাকার কসাইদের কাজের রেটের মধ্যে খুব বেশি একটা পার্থক্য দেখা যায় না।খিলগাঁও,মালিবাগ,রামপুরা এবং বাড্ডা এলাকার কসাই হাজারে ১০০-২০০ টাকা নিয়ে থাকে। গুলশান এবং বসুন্ধরা এলাকায় হাজারে ২০০-৩০০ টাকা নিয়ে থাকে আর মোহাম্মদপুর,ধানমন্ডি এবং হাজারিবাগ এলাকার কসাই হাজারে ১৫০-২৫০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে।

মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারের কসাই একরামের সাথে কথা বলে জানা যায় ঈদের অর্ডারের বুকিং এর কাজ শুরু হয়ে গেছে। তারাও বেশ প্রস্তত। সাধারণত পরিচিত মানুষের মধ্যে কাজ করতে তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাই বাইরের কাজের অর্ডার কম নেন। চেনার বাইরে কাজ করলে মজুরি হারানোর একটা শঙ্কা থেকে যায় বলে জানান তিনি।

পেশাদার কসাই ছাড়াও কোরবানির ঈদ আসলে প্রচুর নতুন কসাইয়ের আবির্ভাব ঘটে।এরা সাধারনত রিক্সাচালক,ভ্যানগাড়িচালক ও দিনমজুর। সাধ্যের মধ্যে যারা কোরবানির জন্য কসাই পাননা এরা তাদের শেষ ভরসা। কিন্তু এদের কাজ পেশাদার কসাই হতে অনেকাংশেই মানসম্মত হয়না। তাই আপনার কোরবানির ঈদে কসাই এখনি ঠিক করে রাখুন।

কসাই...

/এফএএন/