রোদ-বৃষ্টির এই শরতে বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি

 

বৃষ্টির দিনে চাই ছাতা

প্রতিদিনই ভীষণ রোদ উঠছে আবার তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে আকাশ ভেঙে। কোনও প্রস্তুতি না নিয়ে বাইরে বের হয়ে হয় কাক ভেজা হচ্ছেন নয়তো ঘামে ভিজে-নেয়ে একাকার হয়ে যাচ্ছেন। তবু ছুটতে হয় গন্তব্যে। ঘরের প্রতিটি সদস্য যে যার কাজে বের হয়ে যায়। কেউবা স্কুলে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কেউ অফিসে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। যে যেখানেই যাক না কেন, সবার জন্য প্রয়োজন একটু প্রস্তুতি। প্রয়োজনীয় এই অনুসঙ্গ ঠিক রাখতে যেমন সতর্ক হতে হবে সবার আগে সচেতনতা লাগবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য।

বৃষ্টির ফ্যাশনে যোগ হয়েছে নানা রকম রেইনকোট। জনপ্রিয়তা পেয়েছে পেটেন্ট ও প্যারাসুট কাপড়ের তৈরি ব্যাগ। নারীরা একটু স্বচ্ছ প্রকৃতির কালারফুল রেইনকোর্ট ব্যবহার করছেন। ছোট শিশুদের জন্যও বেছে নিতে পারেন রেইনকোর্ট। এক কথায় শিশুদের স্কুলব্যাগে মায়েরা প্রতিদিন রেইনকোট দিয়ে দিতে ভুল করবেন না।

এই সময় স্কুলগামী ছেলেমেয়েদের ব্যাগের ক্ষেত্রে ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ খুব ভালো সমাধান হতে পারে। শুধু স্কুলগামী ছেলেমেয়েদের বেলায়ই নয় বর্ষাকালে পানিরোধক বা ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ সমান তালে ব্যবহার করছেন বড়রাও। কেননা অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস ঐ ব্যাগেই রাখতে হয়। তবে যাদের ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ নেই তারা ব্যাগে রাখুন পর্যাপ্ত পরিমাণে পলিথিন, যাতে বৃষ্টির সময় নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহজেই রাখতে পারেন সুরক্ষিত। আপনি যদি অফিসের কাজে ছোটেন, ইউনিভার্সিটি বা কলেজ গোয়িং স্টুডেন্ট হোন সাথে নিয়ে নিন প্লাস্টিকের জিপার ব্যাগ। এই ব্যাগে সবসময়ের সঙ্গী মোবাইল, ইয়ারফোনসহ অন্য গ্যাজেটসগুলো সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে না।

হঠাৎ রোদ, হঠাৎ বৃষ্টির এই সময় আরেক গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী হলো ছাতা। ছাতা ছাড়া এই সময় বাইরে যাওয়া বোকামি ছাড়া কিছু নয়। প্রখর রোদ ও বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচতে ব্যাগে ছাতা রাখুন সবসময়। বাটনযুক্ত ছাতা ব্যবহার করা ভালো। এটি খুব সহজেই ভাঁজ করে রাখা যাবে। আর ছাতার কাভারটি নিতে ভুলে গেলে চলবে না। ভেজা ছাতা কাভারে ঢুকিয়ে নিয়ে ব্যাগে রাখতে পারবেন সহজে। এতে অন্য কিছু ভিজে যাবার সম্ভাবনা থাকবে না।

/এফএএন/