বদলে ফেলুন ঘরের সাজ

ঘরের ছিমছাম ও স্নিগ্ধ সাজ প্রশান্তি নিয়ে আসে মনে। তবে দীর্ঘদিন একইভাবে সাজানো অন্দর একঘেয়ে লাগতে পারে। তাই মাঝে মধ্যে ঘরের সাজে খানিকটা পরিবর্তন নিয়ে আসা জরুরি।

কিছুদিন পর পর সাজের আবহে নিয়ে আসতে পারেন খানিকটা অদল বদল।

ঘর ছোট হোক কিংবা বড়, সাজে থাকা চাই রুচি ও ব্যক্তিত্বের সঠিক প্রকাশ। কিছুদিন পর পর সাজের আবহে নিয়ে আসতে পারেন খানিকটা অদল বদল। তাতে একঘেয়েমি ভাব কাটবে। আবার সেটার জন্য যে খুব বেশি কষ্ট করতে তাও কিন্তু নয়। ঘরের মধ্যেই ছোটখাটো পরিবর্তন করে বদলে ফেলতে পারেন অন্দরের সাজ। দীর্ঘদিন একইভাবে সাজানো আসবাবপত্র দেখতে বিরক্ত লাগছে? চট করে সেগুলোর স্থান পরিবর্তন করে নিন। একঘেয়ে পরিবেশে বৈচিত্র্য আসবে বেশ। আসবাব খানিকটা এদিক ওদিক করে সেই ঘরেই রাখা যেতে পারে। আবার চাইলে এক ঘরের আসবাব অন্য ঘরে নিয়ে যেতে পারেন। যেমন বুক শেলফ ও পড়ার টেবিলের জায়গা অদল বদল করে রাখা যায়। ডিভানের পাশে রাখা ইজি চেয়ারটা নিয়ে যেতে পারেন জানালার কাছে।

ঘরের সাজ হওয়া চাই ছিমছাম

ঘরের মধ্যেই ছোটখাট পরিবর্তন নিয়ে আসা যায়। যেমন সোফার সাইড টেবিলের স্থান পরিবর্তন করে রাখতে পারেন। সম্ভব হলে কিছু শো পিস কিনে নিন। না হলে পুরোনোগুলোই জায়গা বদল করে রাখুন। ড্রইং রুমে রাখা বড় ভাস্কর্যটি ঘরের অন্য কোণায় নিয়ে যেতে পারেন। শো কেসের সাজকেও বদলে নিতে পারেন। আসবাব পুরনো হয়ে গেলে রং করিয়ে নিন। নতুনের মতোই দেখাবে। উইন্ড চাইমটা হয়তো দীর্ঘদিন একই জায়গায় থেকে টুংটাং করে যাচ্ছে। সেটা খুলে অন্য জায়গায় ঝুলিয়ে নিন। এক দেয়ালের পেইন্টিং অন্য দেয়ালে রাখতে পারেন। কাঠ বা বেতের পার্টিশন থাকলে তা ঘরের অন্য কোণায় নিয়ে যাওয়া যায়। দরজার সামনে রাখা পাম ট্রিটা সরিয়ে লিফটের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। অন্দরের সাজে ভিন্নতা নিয়ে আসার জন্য যোগ করতে পারেন ছোটখাট কিছু জিনিসও। একটি রঙিন শতরঞ্জি, সুন্দর একটি ল্যাম্প শেড অথবা ব্যতিক্রমী কয়েকটি শো পিস আপনার ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিবে অনেকাংশে। 

চাইলে বাঁশ কিংবা বেত দিয়ে নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন সুদৃশ্য একটি ফুলদানি। ইনডোর প্ল্যান্ট রাখার পাত্রটি পুরাতন হয়ে গেলে নতুনত্ব নিয়ে আসতে পারেন সেটাতেও। 

/এনএ/