সবুজে ঘেরা জীবতলী রিসোর্ট

একদিকে কর্ণফুলী নদী আর অন্য দিকে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ, মাঝখানে কাপ্তাই উপজেলা। বিধাতা যেন এখানে রূপ সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছেন। দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং চন্দ্রঘোনা পেপার মিল ছাড়াও রাম পাহাড়, সীতা পাহাড়সহ নানান চিত্তাকর্ষক স্থানের জন্য এটি ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

জীবতলী রিসোর্ট

এ উপজেলার নানা দৃষ্টিনন্দন স্থানের মধ্যে অন্যতম কাপ্তাই জীবতলী রিসোর্ট। যান্ত্রিক জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে প্রিয়জন ও বন্ধুদের নিয়ে যারা প্রকৃতির খুব কাছাকাছি সময় কাটাতে চান, তারা ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে।

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার জীবতলী রিসোর্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাপ্তাই জোনের ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৩৫ একর জায়গার উপর গড়ে উঠছে। কাপ্তাই হ্রদের পাশ ঘেঁষে পাহাড়ের কোলে গড়ে তোলা হয়েছে কটেজ। কৃত্রিম কোনও যন্ত্রের স্থান নেই কটেজে। মাটির দেয়াল আর পাহাড়ি ছনের ছাদ দেওয়া এসব কটেজে। এখানে নেই কোনও বৈদুতিক পাখা কিংবা এয়ার কন্ডিশনের ব্যবস্থা। জ্বলবে কুপি বাতির মিটমিট আলো। পাহাড়ি আঁকা-বাঁকা সরু এবং উঁচু পথ বেয়েই যেতে হবে কটেজে। এখান থেকেই দেখা মিলবে বিশাল কাপ্তাই লেক। শিশুদের জন্য রয়েছে খেলাধুলার ব্যবস্থা। আছে মিনি চিড়িয়াখানা।     

যেভাবে যাবেন
রাঙামাটি সদর থেকে সড়ক ও নৌপথে যাওয়া যায় এখানে। দুই পাহাড়ের মাঝখানে ছুটে চলা রাস্তা দিয়ে যেতে নজরে পড়বে এখানকার স্থানীয় অধিবাসীদের জীবনচিত্র। আসামবস্তি হয়ে গেলে সময় লাগবে কম। পাশাপাশি বিশালকার পাহাড়ের উপর দিয়ে ছুটে চলা ১৯ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে যেতে লেকের বিশাল জলরাশির সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি পাহাড়ের উপর থেকে রাঙামাটি শহরটিকেও এক নজর দেখে নেওয়া যাবে

 

/এনএ/