পতাকা কিনবেন?

গুলশানে বিভিন্ন আকৃতির লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে ঘুরছিলেন রিপন। জানালেন, কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসেছেন কেবল পতাকা বিক্রি করার জন্যই! দেশের বাড়ি কিশোরগঞ্জে আছে নিজের চায়ের দোকান। বছরের এই একটি মাসই ঢাকায় আসেন তিনি। রিপন জানালেন, ছোটবড় সবাই-ই বিজয়ের মাসে হাতে তুলে নিতে চায় দেশের প্রিয় পতাকা। তাই এই একটি মাস অস্থায়ী জীবিকা হিসেবে পতাকা বিক্রি করে বেড়ান ঢাকা শহরে।

চলতি পথে এক টুকরো লাল সবুজ কিনে নিতে পারেন যেকোনও সময়ই


আবু হেদায়েত পতাকা বিক্রি করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। তিনি জানালেন, গত তিন বছর ধরেই ডিসেম্বর মাসে পতাকা হাতে ঘুরে বেড়ান ঢাকা শহরের আনাচেকানাচে। গ্রামের বাড়ি রংপুরে তার। সাময়িক জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি এটি এখন এক ধরনের নেশাতেও পরিণত হয়ে গেছে। যে পতাকাগুলো বিক্রি হয় না, সেগুলো পরম যত্নে ভাঁজ করে রেখে দেন পরের বছর বিক্রির জন্য।

পতাকার এসব ফেরিওয়ালার কাছে একদম ছোট পতাকা থেকে শুরু করে বিশাল আকৃতির পতাকাও আছে
রিপন ও আবু হেদায়েতের মতো অসংখ্য পতাকার ফেরিওয়ালার আনাগোনা এখন শহর জুড়ে। চলতি পথে এক টুকরো লাল সবুজ কিনে নিতে পারেন যেকোনও সময়ই। দেশের পতাকা হাতে তুলে দিতে পারেন শিশুর হাতে। শোনাতে পারেন বিজয়ের গল্প।
পতাকার এসব ফেরিওয়ালার কাছে একদম ছোট পতাকা থেকে শুরু করে বিশাল আকৃতির পতাকাও আছে। ছোট রুমাল আকৃতির পতাকার দাম ১০ টাকা। আকৃতি অনুযায়ী ৩৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করে পতাকার দাম। রয়েছে মাথায় বাঁধার ব্যান্ডেনা। এগুলোর দাম ১০ টাকা। লাল- সবুজ হাতের ব্রেসলেটও বহন করছেন কেউ কেউ। দাম ১০ টাকা।

/এনএ/