ফিরে দেখা ২০১৬

খাদ্য-পুষ্টি ফ্যাক্টস

 

২০১৬ সালে মানুষের খাদ্যাভাসে পুষ্টিকর খাবারের উপস্থিতি বেড়েছে বলেই মন্তব্য করেছেন একাধিক পুষ্টিবিদ। পুষ্টিবিদদের মন্তব্যের আলোকে চলুন জেনে নেই এ বছরঠিক কী কী ধরনের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করেছেন মানুষ।

স্যুপ

১. ২০১৬ সালের পুষ্টিকর খাদ্য তালিকায় কী কী ছিল, সে বিষয়ে বেলার নিউট্রিশনাল ইন্সটিটিউট-এর প্রধান নির্বাহী র‌্যাচেল বেলার মন্তব্য করেছেন, “নতুন জ্যুসিংয়ে পরিণত হয়েছে স্যুপিং”।অন্যান্য বছরের তুলনায় স্যুপ এ বছর বেশি গ্রহণ করেছেন মানুষ, তাও আবার জ্যুসের মতো করে। ফলে জ্যুসে যে পুষ্টিকর উপাদানগুলো নেই, তা স্যুপের মাধ্যমে অনয়াসেই পেয়েছেন তারা।

উদ্ভীদ জাতীয় খাদ্য

২. স্যুপের পাশপাশি প্রয়োজনীয় আমিষ ও ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম এ ধরনের উদ্ভিদজাতীয় খাদ্য গ্রহণের প্রবণতাও বেড়েছে এ বছর।

চিনিবিহীন খাদ্য

৩. গ্রহণকৃত পুষ্টিকর খাদ্য তালিকায় বরাবরের মতো এবারও চিনির পরিমাণ কম এ ধরনের খাদ্য জায়গা করে নিয়েছে। তবে এ বছর এর চাহিদা একটু বেশিই ছিল। চাহিদা মেটাতে বাজারে একাধিক এ ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য। এ জাতীয় পণ্য উৎপাদনে চিনির পরিমাণ কমানোর জন্য অনেকটা বাধ্য হয়েই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেছে নিতে হয়েছে কোকোনাট পাম সুগার, মেপল সিরাপ ও স্টিভিয়ার মতো প্রাকৃতিক মিষ্টিজাতীয় পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান।

প্রোবায়োটিক খাদ্য

৪. গবেষণার বরাতে জানা গেছে, বিষন্নতা কমাতে সাহায্য করে প্রোবায়োটিক ধরনের খাবার। আর তাই হয়তো ২০১৬ সালে গ্রহণকৃত পুষ্টিকর খাদ্য তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার।

দুগ্ধজাত খাদ্য

৫. খামারজাত ‘ফুল-ফ্যাট’ খাবারের প্রতিও মানুষের আকর্ষণ বেড়েছে এ বছর। অবশ্য ২০১০ সাল থেকেই এ ধরনের খাবারের চাহিদা বাড়ছে। আইআরআই-এর এক জরিপে উঠে এসেছে ২০১৫ সালে মানুষের এ ধরনের খাবারের চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২.১ শতাংশ, অথচ ২০১০-এ ধরনের খাবারের চাহিদা ছিল ২৭.৯ শতাংশ। বর্তমান বছরে স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে এ চাহিদা আরও বেড়েছে বলেই জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।

জ্যুস বা পানীয়

৬.পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে জ্যুসের জায়গা অনেকটাই দখল করে নিয়েছে স্যুপ। তাই বলে কিন্তু তালিকা থেকে একদম হারিয়ে যায়নি পুষ্টিকর এ পানীয়টি। আর তাই এ বছর পুষ্টিকর খাদ্যের মধ্যে রয়েছে‘বিট জ্যুস’।

/এফএএন/