১১ জানুয়ারি বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বনানীর ১১ নম্বর রোডে অঞ্জন’স এর নিজস্ব আঙিনায় শুরু হয়েছে এই উৎসব। জামদানি নিয়ে এধরনের উদ্যোগ প্রসঙ্গে অঞ্জন’স এর শীর্ষ নির্বাহী শাহীন আহম্মেদ বলেন ‘বুননের নাম জামদানি। শিল্পের ভেতরের যে ঐশ্বর্য ছড়িয়ে আছে আমাদের ঐতিহ্যে তার ধারক হয়ে আজও জনপ্রিয়তায় অনন্য হয়ে আছে জামদানি বয়ন। একসময় মসলিনের পরিপূরক হয়ে আমাদের ফ্যাশন ঐতিহ্যে বসতি গেড়েছিল জামদানি। ক্রমেই তা বাংলার তাঁতিদের সুনিপুণ দক্ষতায় হয়ে উঠে আভিজাত্যের পোশাক । মুলত জামদানির পৃষ্ঠপোষকতা ও এর মোটিফকে আধুনিক আঙ্গিকে উপস্থাপনের জন্যই শুরু করা হয়েছে এই জামদানি বিপণন ও প্রদর্শনীর ধারাবাহিক আয়োজন। তিনি জানান, জামদানি নিয়ে এধরনের নিয়মিত আয়োজন করা হয়ে থাকলে গণমাধ্যমে আরো বেশি প্রচারণা বাড়বে।”
বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানটিকে আরো প্রাণবন্ত করতে আয়োজন করা হয় ফ্যাশন শো। প্যাটার্ন এবং ডিজাইন ভিন্নতায় জামদানি শাড়ি ছাড়াও এসব পোশাকের মোটিফে প্রাধ্যন্য দেওয়া হয়েছে জামদানি মোটিফের নানা ধরনকে। জমিনের তিন ধরনের নকশা যেমন বুটা, জালি ও তেছরি সবই যেন ডিজাইনারদের মুন্সিয়ানায় পেয়েছে আধুনিকতার পালক। র্যাম্পে কিছুটা ট্র্যাডিশনকে ফিউশনের আদলে তুলে ধরা হয়। র্যাম্পের তরুণদের উচ্ছল ছন্দে জীবন্ত হয়ে উঠে উৎসবের আঙিনা। গত ১১ জানুয়ারী অঞ্জন’স বনানীর বিক্রয় কেন্দ্রে জামদানির এই প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মাফরূহা সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো এবং বিশেষ অতিথি চন্দ্র শেখর সাহা, সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদ। এ সময় অঞ্জন’স এর শীর্ষ নির্বাহী শাহীন আহম্মেদ, প্রধান ডিজাইনার লায়লা খায়ের কনক, অঞ্জন’স এর শুভানুধ্যায়ী ও ক্রেতা সাধারণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, প্রদর্শনীতে থাকবে রূপগঞ্জ অঞ্চলের তাঁতিদের তৈরি করা শাড়ি এবং জামদানি মোটিফ দিয়ে তৈরি নিজস্ব ডিজাইনের পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট, সালোয়ার কামিজ এবং গৃহসজ্জা ও উপহারসামগ্রী। আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অঞ্জন’স এর নিজস্ব নির্ধারিত স্টোরগুলোতেই চলবে এই জামদানি বিপণন ও প্রদর্শনীর আয়োজন।
/এফএএন/