'ইচ্ছেতলার ইচ্ছে যত, মেলুক ডানা ইচ্ছেমতো'

20604556_10155038444198020_28995076031542557_nশিশুদের শিল্পকলার নানান বিষয়ের সঙ্গে পরিচিতি দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ১১ মার্চ প্রতিষ্ঠা করা হয় ব্যতিক্রমধর্মী স্কুল ইচ্ছেতলা। পাঁচ থেকে ১৩ বছর বয়সি যেকোন শিশুই এখানে এসে আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, গান, নাচ কিংবা মার্শাল আর্ট। নিয়মিত চর্চার মধ্যে দিয়ে শিশুদের সৃজনশীল করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেন নাট্যব্যক্তিত্ব আফসানা মিমি।

পরীক্ষা এবং প্রতিযোগিতাহীন একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে ইচ্ছেতলায়। শিশুদের নান্দনিক উপায়ে তাদের নিজেদের ইচ্ছের ওপর জোরকে প্রাধান্য দেওয়াই স্কুলটির মূল উদ্দেশ্য। শুক্রবার এবং শনিবার এই দুই দিন স্কুলটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। শিশুদের দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য রয়েছেন নয় অভিজ্ঞ শিক্ষক এবং শিক্ষিকা।

শুক্রবার ইচ্ছেতলায় ছিল শিশুদের মিলনমেলা। কারণ সেখানে তাদেরই আঁকা ছবির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছিল কর্তৃপক্ষ। শিশুদের কল্পনাশক্তির প্রতিফলনই স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। কেউ এঁকেছে নদী, কেউ এঁকেছে গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবি, কেউবা এঁকেছে সৌরজগতের চিত্র। প্রদর্শনীতে অংশ নেয় ৩০ শিশু।

প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশির ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, আরও অনেক আগেই আসার ইচ্ছে ছিল এই ইচ্ছেতলায়। এতদিন কেনও এই শিশুদের মাঝে আসতে পারিনি সেটি ভেবেই ভীষণ আফসোস হচ্ছে। তিনি শিশুদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, তাদের সৃজনশীলতার জগত অনেক বড় যেটি তাকে বরাবরই মুগ্ধ করে।  IMG_20170804_191856

প্রতিষ্ঠাতা আফসানা মিমি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, শিশুরা নিজ ইচ্ছায় তার চারপাশ সুন্দর করে বেড়ে উঠবে এবং নিজেকে সৃজনশীল করবে এই লক্ষ্যেই ইচ্ছেতলার প্রতিষ্ঠা। এটা এভাবেই চলতে থাকবে। তাদের কাজকে উৎসাহ দিতেই এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা। ভবিষ্যতেও ইচ্ছেতলার এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

মেলা দেখতে আসা শিশু বাস্তব জানায়, শিল্পী শিশির ভট্টাচার্যের গল্প তার ভীষণ ভালো লেগেছে। রঙ নিয়ে তিনি একটি মজার গল্প বলেন সেটি তাকে আনন্দ দিয়েছে। ছবি আর রঙের মেলাও তার অনেক পছন্দ হয়েছে। 

/এফএএন/