দেশের নানান প্রান্ত থেকে প্রতিদিন বাস, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, রিক্সা, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে প্রচুর মানুষ বেড়াতে আসেন এখানে। আর বিভিন্ন উৎসবে মানুষের ঢল নামে ভিন্নজগতে।
ভিন্নজগতের চারিদিকে সাজানো-গোছানো দেশি-বিদেশি হাজারও গাছ-গাছালির মাঝে সারাক্ষণ নানা প্রজাতির পাখির কোলাহল। সবুজ প্রকৃতির ছায়া ঘেরা পরিবেশে সারাটা দিন হেসে খেলে আপনি কাটিয়ে দিতে পারবেন। ছোট-বড়, তরুণ-তরুণী, অবাল-বৃদ্ধা সব বয়সের মানুষের পদাচারণায় সদা চঞ্চল রংপুরের ভিন্নজগত।
বাংলাদেশের প্রথম প্লানেটোরিয়ামটি এখানেই স্থাপন করা হয়েছিল, সেটা এখনও চালু আছে। গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় নির্মিত দোকানপাট, তিনশ আসনবিশিষ্ট আধুনিক কনফারেন্স কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার, সুইমিংপুল ও মসজিদ আছে রংপুর ভিন্নজগতে।
যারা মাছ ধরতে ভালবাসেন শখের মৎস্য শিকারি, তাদের জন্য নির্দিষ্ট ফি-এর বিনিময়ে মাছ ধরার ব্যবস্থা আছে ভিন্নজগতে।
ভিন্নজগতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভাল। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বেশকিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখাশোনা করা হয়।
রংপুর ভিন্নজগতে যাবার জন্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেক ভালো। বাসে আসলে রংপুরের পাগলা পীরে নেমে রিক্সা, ভ্যান বা অটোতে ১৫/২০ টাকা ভাড়া দিয়ে ভিন্নজগতে যেতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট।
/এফএএন/