গ্রিলার্স চ্যালেঞ্জে বিজয়ী ঘোষণা

Grilers Challenge 02

এ বছর নানদোস মাস্টার গ্রিলার্স চ্যালেঞ্জ ২০১৭ এর বিজয়ী হয়েছেন অ্যান্থনি সৈকত গোমেজ। গুলশান ১ নানদোস আউটলেটে এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হলো মাসব্যাপী নানদোস মাস্টার গ্রিলার্স চ্যালেঞ্জ।

আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতাটি নানদোসের লাইসেন্স থাকা ২৪টি দেশের সব গ্রিলার্সদের নিয়ে বছরের এই সময়টাতে বিশ্বব্যাপী নিয়মিত হয়।

এবছর প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন সংগীতশিল্পী হৃদয় খান, মডেল-উপস্থাপক ইসমত জেরিন চৈতী, উপস্থাপক-অভিনেত্রী সামিয়া আফরীন, ফুডব্যাংকের অ্যাডমিন শীষ স্বপ্নিক, নানদোসের কাস্টমার সার্ভের বিজয়ী আশিক নূন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নানদোসের হেড অব এমআরপিল টিম শাহিন মোহাম্মদ সামিউল হক।

নানদোস দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক চেইন রেস্টুরেন্ট যেটি বাংলাদেশে পরিচালনা করে এমজিএইচ গ্রুপ।

প্রতিযোগিতাটি ছিল সত্যিই অন্যরকম। কেননা, র্দীর্ঘ একমাস নানা ধরনের প্রক্রিয়া এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করে গ্রিলার্সরা। যাতে নানদোসের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে তৈরি হয় অনন্য ও বিখ্যাত পেরি পেরি চিকেন। এই প্রক্রিয়া ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নানদোস এবং অনন্য সম্মানিত বিচারকরা নির্বাচিত করে সেরাদের সেরা গ্রিলার। যারা তাদের ব্যতিক্রমী এই গ্রিলার দক্ষতায় তুলে ধরতে পারবেন বিশ্বব্যাপী।

হেড অব এমআরপিল টিম শাহিন মোহাম্মদ সামিউল হক বলেন, ‘আমাদের অতিথিরা বেশ অভিজ্ঞ খাবারের ভিন্ন স্বাদ ও মান মূল্যায়ন করতে। সে জন্য মাস্টার গ্রিলার্স চ্যালেঞ্জের বিচারক হিসেবে এলোমেলোভাবে মনোনিত করা হয় চারটি রেস্টুরেন্টের প্রত্যেকটি থেকে অতিথি নিয়ে। এছাড়া মাস্টার গ্রিলারদের মনোনিত করা হয়েছে চূড়ান্তভাবে বিচারকদের মাধ্যমে।’

প্রতিযোগিতার সময়, নানদোসের চার শাখার গ্রিলার্সরা সব থেকে সেরা ও খাঁটি পেরি পেরি চিকেন প্রস্তুত করতে রান্না ঘরে মাত্র ১৫ মিনিট সময় কাটান। বিচারক প্যানেল এই প্রতিযোগিতা থেকে সেরা গ্রিলার বাছাই করতে সহযোগিতা করেন।

প্রতিযোগিতায় বিজয়ী গ্রিলার অ্যন্থনি সৈকত গোমেজ বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এবং বিশ্বের সেরা গ্রিলার খুজ নেবার যুদ্ধে ‘ওয়ার্ল্ড বেস্ট গ্রিলার” শিরোপা অর্জনের জন্য লড়বেন। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে এই ভাগ্যবান বিজয়ী পাবে আন্তর্জাতিক সম্মাননা এবং বাকি জীবন মনে করার মতো আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতার সুযোগ।

/এফএএন/