সিঁদুর খেলে রঙিন মুখে মাকে বিদায়

 

22184889_1601612913193766_805804190_nমহালয়ায় দেবী দুর্গা পৃথিবীতে নেমে এসেছিলেন, আজ বিজয়া দশমীর দিন আবার মর্ত্যলোক ছেড়ে স্বর্গলোকে প্রস্থান করবেন। অগণিত ভক্তদের মনে তাই আজ বিদায়ের বিষাদ। দেবীর বিদায়ের কষ্ট ভুলে থাকতে এবং হাসিমুখে বিদায় জানানোর জন্য ভক্তরা মত্ত হয়েছেন সিঁদুর খেলায়।

মুখ রঙিন করে হাসি মুখে মাকে বিদায় জানানোর জন্যই সিঁদুর খেলা। এছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিবাহিত নারীদের জন্য সিঁদুর একটি গুরুতপূর্ণ অংশ। তাই মাকে বিসর্জনের আগ পর্যন্ত তারা একে অপরকে সিঁদুর লাগিয়ে মিষ্টিমুখ করেন, নাচ, গান করেন। যেন সারাটা বছর এমন আনন্দেই কাটে।22127254_1601612863193771_1319856243_n

সধবা নারীর স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন নারীরা নিজ কপালে সিঁদুর লাগান এবং সেই সিঁদুরের কিছু অংশ দিয়ে দেবীর চরণ স্পর্শ করে থাকেন। তারপর সবাই মিলে একে অপরকে সিঁদুর মাখেন। দুর্গা আগামী বছর আবার সাথে করে শাঁখা সিঁদুর সঙ্গে নিয়ে আসবেন এবং সেই শাঁখা সিঁদুর ধারণ করেই স্বামীর মঙ্গল হবে এই বিশ্বাসে ভক্তরা সিঁদুর নিয়ে দশমী উদযাপন করেন। এই উৎসবের নামই সিঁদুর খেলা।

এই সিঁদুর খেলা বিবাহিত নারীর জন্য সীমাবদ্ধ থাকলেও সকলেই মণ্ডপে ভিড় করেন নেচে গেয়ে এতে অংশ নেন। অবিবাহিতরা গালে আর হাতে মাখেন সিঁদুর।22127180_1601612896527101_1578751823_n

পূজা দেখতে আসা এক তরুণী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বিয়ে ছাড়া মাথায় সিঁদুর দেয়া যায়না। আমাদের একদিন বিয়ে হবে তখন ভালো স্বামী এবং সুখের সংসারের কামনায় আমরা সিঁদুর খেলায় আসি। বিয়ে হলে আমরাও সিঁথিতে সিঁদুর পরবো।

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, কলাবাগান পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা যায় লাল শাড়ি, সাদা শাড়ি লাল পাড় পোশাকে ছেয়ে আছে। দেবীকে সিঁদুর ছোঁয়ানোর জন্য দীর্ঘ লাইন। অনেকেই এসেছেন সিঁদুর খেলতে। বাদ্যের তালে তালে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে বিদায়ের প্রস্তুতি। বিকেলে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজা। 22119120_1601612889860435_919610109_n