অন্যের যেসব সামগ্রী ব্যবহার মানা

useপ্রত্যেকটা মানুষের আলাদা কিছু ব্যবহারিক সামগ্রী থাকে। আপনি যে টুথব্রাশ প্রতিদিন ব্যবহার করেন, সেটা নিশ্চয়ই অন্য কেউ ব্যবহার করুক তা চাইবেন না। এটা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত বিষয় না। একই কথা বলতে হয় রেজারের বেলায়। সেটাও একজনেরটা আরেকজন ব্যবহার করা মোটেও স্বাস্থ্যকর বা রুচিসম্মত না। অনেকটা এমনই কিছু সামগ্রী আছে যা অন্য কারো সাথে শেয়ার বা ভাগাভাগি করা উচিত না-

স্লিপার: গ্রামের বাড়ি থেকে বা অনেক দূর থেকে আপনার বাসায় কোনও অতিথি বেড়াতে আসলে তার সঙ্গে স্লিপার নিয়ে এসেছেন কি না, সেটা দেখাও জরুরি। বিশেষ করে বাথরুমে আলাদা স্লিপার থাকা চাই তার জন্য। কারণ স্লিপারের মাধ্যমে তার পায়ের বিভিন্ন ফাঙ্গাস আপনার পায়েও চলে আসতে পারে। তাই তাকে বাথরুমের জন্য এক জোড়া নতুন স্লিপার কিনে দিন।

লিপ গ্লস বা লিপস্টিক: মেয়েরা সাধারণত এক বান্ধবী আরেক বান্ধবীর লিপ গ্লস বা লিপস্টিক ব্যবহার করতে ভালোবাসে। এটা খুব বিপজ্জনক। কারণ এতে করে হার্পিসের মতো ভাইরাস জনিত চর্মরোগ একজনের কাছ থেকে আরেকজনের মাঝে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কসমেটিক্স: আইশ্যাডো, কাজল, ফেস পাউডারের মতো অন্য সব কসমেটিক্সও একে অপরেরটা ব্যবহার করা একেবারে অনুচিত। যদি বিয়ে বা কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে বিউটি সেলুনে যান, তাহলে খেয়াল রাখুন তারা সঠিক স্বাস্থ্যসম্মত প্রডাক্ট ব্যবহার করছে তো? কারণ আপনি জানেন না, আরেকজন কোন চর্মরোগ বয়ে বেড়াচ্ছে।

তোয়ালে: একজনের তোয়ালে আরেকজন ব্যবহার করা ঠিক না। কোনও সুইমিং ক্লাব বা স্পোর্টস ক্লাবে গেলে বিষয়টা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে। এতে করে অন্যের দেহের ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস বা চর্মরোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থেকে রেহাই পাবেন।

চিরুনি ও চুলের সামগ্রী: চিরুনি, হেয়ার ব্যান্ড, ক্লিপ এসবের মাধ্যমে মাথার উকুন ও খুসকি একজনের মাথা থেকে আরেকজনের মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। তাই অন্য কারও চিরুনি বা চুলের সামগ্রী ব্যবহার করা উচিত না।

হেডফোন: অফিসে বা বন্ধুরা এক সাথে হলে অনেক সময়ই আমরা একজন আরেক জনের হেডফোন কানে দেই গান বা কোনো কিছু শুনতে। এটা ক্ষতিকর। কারণ প্রত্যেকের কানে বিশেষ কিছু ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে। এতে করে একজনের কানের ব্যাকটেরিয়া আরেকজনের কানে গিয়ে ইনফেকশন হতে পারে।

ডিওডোরেন্ট রোল অন: যেসব ডিওডোরেন্ট রোল অন একজন বগলের নিচে বা শরীরে ব্যবহার করে, সেগুলো আরেকজন ব্যবহার করা অস্বাস্থ্যকর। কারণ এতে একজনের শরীরের ব্যাকটেরিয়া অন্যজনের শরীরে চলে যাওয়ার আশংকা থাকে।

স্কিনকেয়ার: স্পঞ্জ, ব্রাশ, ম্যাসেজ রোলারের মতো স্কিনকেয়ার উপকরণ ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। অন্যের স্কিনকেয়ার উপকরণ ব্যবহার করবেন না। এতে করে আপনিও ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হতে পারেন।

তথ্যসূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া।