পানিশূন্যতা!

splash-of-water-wallpaper-1বসন্তের এই সময় থেকেই গ্রীষ্মের দাবদাহ যেন জানান দিচ্ছে তার উপস্থিতির কথা। আর সামনে তো গ্রীষ্মের কথা বাদই দিলাম প্রখর তাপমাত্রায় বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের সঙ্গে অনেকেরই দেখা দেয় ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা। এটি শিশু থেকে শুরু করে যেকোন বয়সের ক্ষেত্রেই কিন্তু দেখা যেতে পারে। তাই এখন থেকেই মেনে চলুন কিছু বিষয় যাতে, পুরো বছর জুড়েই আপনি থাকতে পারেন সতেজ!

১. প্রচুর পরিমাণে পানি

হ্যা, পানিশূন্যতা রোধে প্রথম নিরাময় হলো পানি। দিনে ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। সকালে উঠেই ১-২ গ্লাস পানি পান করতে পারেন। এতে আপনার হজমশক্তিও বেড়ে যাবে। শুধু পানিই নয়, এই তালিকায় বিভিন্ন মৌসুমি ফলের জুস বা ডাবের পানি, লাচ্ছি রাখতে পারেন। এতে আপনার ক্লান্তিও কমে যাবে।

২. রঙিন শাক-সবজি

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাক-সবজি রাখুন। এ ধরনের ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার আপনার হজমশক্তি বাড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানিশূন্যতা রোধেও ভূমিকা রাখবে। তাই অন্তত দু-বেলা খাদ্য তালিকায় সবজি রাখার চেষ্টা করুন।  

৩. বিভিন্ন ফলমূল

প্রতিদিন ফলের রস বা কিউব করে কেটে রাখা ফলও কিন্তু বেশ উপকারী। অনেকেরই আবার অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে। তাই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার পরেই ফল খাওয়া যেতে পারে।

৪. বাদ বাকি আরও কিছু খাবার

এছাড়াও দই, ডাল, নিরামিষ, সালদ, রং চা, চকোলেট এ জাতীয় খাবার খেতে পারেন। আপনি হয়তো দিনভর অফিসেই পার করে দিচ্ছেন সময়। তাই ঝামেলা এড়াতে এ ধরণের খাবার রাখা যেতে পারে খাদ্য তালিকায়। শসা, গাজর কিউব করে কেটেও রাখতে পারেন আপনার অফিস ডেস্কেই।

৫. এড়িয়ে চলুন কিছু খাবার

একইসঙ্গে কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন। এ তালিকায় থাকবে মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন, আয়রন এবং ক্যালরিযুক্ত খাবার। যেমন- গরু বা ফার্মের মুরগি, আলু, কচু এবং অতিরিক্ত কফি।

এছাড়াও খাবার ছাড়াও নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন। হাতে একেবারেই সময় নেই? তাহলে অন্তত সকালের কিছুটা সময় হাঁটার জন্য বরাদ্দ রাখুন। কিংবা ছুটির বিকেলেও কিছুটা সময় রাখলেন শারীরিক ব্যায়ামের জন্যে। সব শেষে উপকারটা পাবেন আপনি নিজেই!