জলকেলিতে শেষ হলো বৈসাবির আনুষ্ঠানিকতা

সাংগ্রাইয়ে একে-অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে পুরনো বছরের সকল দুঃখ,অবসাদ দূর করে নতুন বছরে শুদ্ধ মননে জীবন শুরুর প্রত্যয় করলেন মারমা জনগোষ্ঠীর সবাই। বৈসাবিতে বুধবার (১৮ এপ্রিল) সকালে রাঙামাটির আসামবস্তি নারিকেল বাগান এলাকায় পার্বত্যাঞ্চলের মারমা জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব সাংগ্রাইয়ে জলকেলি বা পানি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

2

মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) আয়োজিত জলকেলিতে এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার। রাঙামাটি মাসস এর সভাপতি অংসুপ্রুচৌধুরী সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ৩৩ নং সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু,রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা,রাঙামাটি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফারুক ও রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনরি রশিদ,পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

3

আয়োজনের প্রধান অতিথি দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘সাংগ্রাই মানে শান্তির বার্তা। যারা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে আমাদের জীবনের শান্তি নষ্ট করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা যাতে এক হয়ে অভিন্ন সুরে যেন কথা বলি।’

আলোচনা সভা শেষে অতিথিগণ ঘণ্টা বাজিয়ে জলকেলি উদ্বোধন করেন। এরপর সকলে একে-অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে সকল অবসাদ দূর করে দেয়। জলকেলি অনুষ্ঠানের পর মারমা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহি গান ও নাচ পরিবেশন করা হয়। বিভিন্ন জেলা,উপজেলা থেকে আগত কয়েক হাজার মারমা নারী-পুরুষ একে-অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে উৎসব করে।

1

সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে আসামবস্তি নারিকেল বাগান এলাকাজুড়ে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে মেলা বসে। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি-বাঙালির এক মিলন মেলায় রূপ নেয়।