ব্রিটিশ কাউন্সিলের বই পড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

২০১০ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ব্রিটিশ কাউন্সিল কালচারাল সেন্টারের বই পড়া প্রতিযোগিতা কর্মসূচীটি। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে এর কার্যক্রম চলছে। বিভাগীয় এ তিনটি শহরে একশোর বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব রয়েছে আয়োজনটির। বই পড়া কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ব্রিটিশ কাউন্সিল এর দুটি অংশীদার বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করেছে।  

Book Reading Competition at BUFT (2)
১৮ এপ্রিল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয় বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউএফটি)। বিশ্ববিদ্যালয়টির ফল সেমিস্টারের ৪৯০ জন শিক্ষার্থী বই পড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী মো. জাহিদ হাসানকে ট্যাব, ক্রেস্ট ও সনদ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। প্রতিযোগিতায় অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের বই ও সনদ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদানের জন্য প্রধান অতিথি হিসেবে ব্রিটিশ কাউন্সিলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির ডিরেক্টর অব অপারেশনস, বাংলাদেশ জিম পোলার্ড। অনুষ্ঠানের আরও উপস্থিত ছিলেন বিইউএফটি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিজামুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে বই পড়ার অভ্যাস এবং কীভাবে এ অভ্যাস পাঠকের কল্পনাকে আকৃতি দিতে পারে তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন জিম পোলার্ড। পাশপাশি ভাষার দক্ষতা উন্নয়নে পাঠাভাস্যের ভূমিকা নিয়েও বক্তব্য রাখেন তিনি।
১৯ এপ্রিল বই পড়া প্রতিযোগিতার আরেকটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ক্যাম্পাসে। ইউল্যাবের সামার ও ফল সেমিস্টারের ৩০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতার মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীদের ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি মেম্বারশিপ, ট্যাব, ক্রেস্ট, বই ও সনদ পুরস্কার দেয়া হয়। প্রতিযোগিতায় সামার সেমিস্টারে বিজয়ী হন তানজিম হোসেন। ফল সেমিস্টারে বিজয়ী হন সালমান উল ইসলাম।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের লাইব্রেরিজ আনলিমিটেডের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কার্সটি ক্রফোর্ড। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক এইচ. এম. জহিরুল হক। পুরস্কার বিতরণীর আগে ক্রিস্টি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বোঝাপড়া ও সম্পর্কের শক্তিশালী ভিত্তিতে সাহিত্যের তাৎপর্য উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচীর অন্যতম মূলভিত্তি হচ্ছে সাহিত্য। আমাদের বিশ্বাস, সাহিত্যের মাধ্যমে আমরা একটি স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে সহায়তা করতে পারবো। যে সমাজে কথা বলা, সংলাপ ও সমালোচনামূলক চিন্তার স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করা হবে।’

Book Reading Competition at BUFT (3)
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়েই সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও শিক্ষার সুযোগ নিয়ে কাজ করে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক সংস্থা ব্রিটিশ কাউন্সিল। পৃথিবীর ১০০টিরও বেশি দেশে শিল্প, সংস্কৃতি, ইংরেজি ভাষা, শিক্ষা এবং সমাজ গঠনে কাজ করে সংস্থাটি। ১৯৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ কাউন্সিল রয়্যাল চার্টার ও ইউকে পাবলিক বডি দ্বারা পরিচালিত যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা। এটি ১৫ শতাংশ অনুদান সহায়তা পায় যুক্তরাজ্য সরকার থেকে।